শুক্রবার সকালেই জোকার ইএসআইসি হাসপাতাল (ESIC Hospital) থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যাগভর্তি মাংস। হাসপাতালের মধ্যে এভাবে একটি জায়গা থেকে মাংস উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রোগীর পরিবারের মধ্যে। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন সম্ভবত এটি মানুষের মাংস, আবার কেউ কেউ পশুর মাংস ভেবেও সন্দেহ করছিলেন। তবে বেলা গড়াতেই প্রকাশ্যে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তারপর জানা গেল ব্যাগভর্তি মাংস মনিটর স্নেক প্রজাতির কোনও এক সরীসৃপের মাংস। যদিও বাংলায় এই প্রজাতি বলতে গোসাপকেই বোঝায়। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই মাংসটি কোনও এক বড় গোসাপের।

সরীসৃপের বাকি দেহাংশের খোঁজে শুরু তল্লাশি অভিযান

যদিও এই ধরণের সরীসৃপকে মারা দণ্ডণীয় অপরাধ। ফলে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং কেনই বা হাসপাতাল চত্বরে তার মাংস রাখা হল সেই নিয়ে বাড়ছে রহস্য। গোটা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রাণীটির বাকি দেহাংশ অর্থাৎ মাথা, চামড়া ও হাড়গোড় কোথায়, সেটার খোঁজার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তদন্তকারীরা।

হাসপাতাল থেকে উদ্ধার মাংসপিণ্ড

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ইএসআইসি হাসপাতালের বয়েস হস্টেল ও ক্যান্টিন সংলগ্ন এলাকায় একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় মনিটর স্নেকের মাংস। প্রথমে হাসপাতালে কর্মী বা রোগীদের আত্মীয় পরিজনেদের বিষয়টি নজরে আসেনি। হাসপাতালে থাকা কয়েকটি কুকুর ওই ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করার সময় সকলের নজরে আসে। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।