শুধুই কি ধর্ষণ করে খুন? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কোনও ষড়যন্ত্র? অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কেউ এই ঘটনা করানোর জন্য টাকা দিয়েছিল? আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (R G Kar Medical College and Hospital) ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন মৃত জুনিয়র ডাক্তারের পরিবার। তাঁর দাবি, যদি মেয়েকে খুন করা হয় এবং ঘটনাস্থলে যে অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে তারপরে কেন পরিবারকে খবর দেওয়ার সময় আত্মহত্যা বলা হয়ছিল? এমনকী কর্মক্ষেত্রে সিনিয়রদের কাছে একাধিকবার বাধার সম্মুখীন হয়েছেন তাঁর মেয়ে। সেই কারণে তিনি এই ঘটনার পেছনে বড় হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
মৃতার বাবা জানিয়েছেন, "আমরা রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছি। তাঁরা আমাদের তদন্ত সম্পর্কিত সমস্ত কিছু জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে যদি খুনই করা হয় তাহলে হাসপাতালের তরফে যখন ফোন করা হয় তখন আমাদের কেন বলা হয়ছিল যে আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে? আমার মেয়ে আত্মহত্যা করবে এরকম কোনও কারণই ছিল না। চেস্ট ডিপার্টমেন্টের ওপর আমাদের সন্দেহ রয়েছে। হয়তো টাকা দিয়ে এরকম ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এমনকী বিগত কয়েকদিন ধরে তাঁকে মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তাঁকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। সিনিয়ররা সহযোগীতা করছিল না। রোগীদের চিকিৎসা করতে মেয়েকে বাধা দেওয়া হত"।
West Bengal: The father of a second-year student from R G Kar Medical College, who was raped and murdered at the hospital, says, "The Additional Police Commissioner provided investigation details to the family. Initially, we were told she had committed suicide, but later learned… pic.twitter.com/qi2heXmpFU
— IANS (@ians_india) August 11, 2024
অন্যদিকে মৃতার মায়েরও একই অভিযোগ। তিনি দাবি করেছেন, "ঘটনার একদিন আগে তাঁর মেয়ের গাড়িতে আঘাত করা হয়ছিল। এমনকী ঘটনার দিন যখন পরিবার হাসপাতালে গিয়েছিল তখন তাঁদেরকে কিছু টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলেছেন এক পুলিশ অফিসার"। সবমিলিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে যে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে এই ঘটনা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। বরং এর পেছনে কোনও এক বড় মাথা জড়িত রয়েছে।