নন্দীগ্রাম, ১ এপ্রিল: নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে (WB Assembly Elections 2021) লড়ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়ে বেরিয়েই একদা দলনেত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণে গেলেন অধিকারী বাড়ির মেজো ছেলে। বললেন, “৬৬ বছর, (উনি) আন্টি। আন্টি কো থোড়া শান্ত র্যাহনা চাহইয়ে। সংযত থাকতে হবে তাঁকে। গুন্ডাগিরি করা চলবে না। উন্নয়ন জিতবে, তোষণের রাজনীতির পরাজয় হবে।” শুধু পরাজয় নয়, অমিত শাহর কতামতো বাংলায় বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পেতে চলেছে তানিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত শুভেন্দু। এই প্রসঙ্গ টেনেই বলেন, “ভোটের অঙ্ক মেলানোর বিষয়ে অমিত শাহের জুড়ি নেই। তাই তিনি যেটা বলেছেন সেটাই হতে চলেছে। তিনি আগেও হিসাব মিলিয়ে দিয়েছেন, এ বারও মিলে যাবে।” আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: মহারণের হটসিটে জোর টক্কর মমতা শুভেন্দুর, রায় দেবে নন্দীগ্রাম
ভোটের দিন শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছেন শুভেন্দু। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পর বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেছেন। মার্জিন কী বলা ঠিক হবে না। বাকিটা ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিন। ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ, জমি আন্দোলনে ছিলাম। সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আমার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ চিনত না। কংগ্রেস ভেঙে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় ওঁকে সবাই চিনেছে।” এদিন শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, তৃণমূল ৮০টির বেশি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। সাধারণ মানুষকে শুভেন্দুর বার্তা, “খাবার পরে খাবেন, আগে ভোট দিন।” ভোট দেওয়ার পর বাড়ি ফিরে আধঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ফিরবেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন ভোট দেওয়ার আগে স্নান সেরে সাত সকালে হাজির হয়ে যান রেয়াপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে। ধোপদূরস্ত শুভেন্দুর পরনে ছিল তাঁর পছন্দের সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। কপালে গেরুয়া তিলক। কাঁথির বাড়ি থেকে কালো স্করপিওতে চেপে ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তবে ভোটকেন্দ্রের আগে পেট্রোল পাম্পের কাছে গাড়ি থেকে নেমে বাইকে করে গিয়েছিলেন নন্দনায়েকবাড় প্রাথমিক স্কুলের ভোটকেন্দ্রে।