Subrata Mukherjee (Photo Credits Facebook)

কলকাতা, ৫ নভেম্বর:  সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের (Subrata Mukherjee) হাত ধরে ছাত্ররাজনীতিতে আসা। তিনিই ছিলেন পথপ্রদর্শক। তিনিই ফিরহাদ হাকিমদের (Firhad Hakim)  উত্তম কুমার। "সুব্রতদা ছিলেন আমাদের হিরো। হাতে ধরে ধরে আমাকে কাজ শিখিয়েছেন। ওঁর অনুপ্রেরণাতেই রাজনীতিতে আসা।" সহকর্মী রাজনীতিককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এতাই বললেন ফিরহাদ হাকিম।  সুব্রতবাবুর নশ্বর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেললেন তৃণমূলের আক এক সুব্রত (বক্সি)। দুজন একসঙ্গে একই মঞ্চে রাজনীতি করেছেন। এমনকী একবার সুব্রত মুকোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে ভোটেও লড়েছেন সুব্রত বক্সি। সেবার সুব্রত বক্সি জয়ী হয়েছিলনে। হেরে যান তৎকালীন কংগ্রেস নেতা সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এই দুঃখের দিনে সেসব স্মৃতি ভিড় করে আসছে। আরও পড়ুন- Subrata Mukherjee Death: সুব্রতবাবু সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, রসবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, তাঁকে এভাবেই শ্রদ্ধা দিলীপ, সুজন, বিমান বসুর

দেখুন ভিডিও

বর্ণময় রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে টুইটারে শোক প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি লিখেছেন, "শ্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তিনি ছিলেন একজন প্রবীণ নেতা, সফল রাজনীতিক, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বর্তমান পঞ্চায়েত মন্ত্রী। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। "  বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শোকবার্তায় লিখেছেন, " বর্ষীয়ান রাজনীতিক তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।  তাঁর শোকাহত পরিবার, অনুগামী ও সমর্থকদের জানাই গভীর সমবেদনা। মৃতের আত্মর শান্তি কামনা করছি।"

কালীপুজোর রাতে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বর্ণময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গতকাল দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আচমকাই খারাপ হতে শুরু করে। রাত নটা বেজে ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একডালিয়া এভারগ্রিন দুর্গাপুজোর সভাপতি।  এখন  সুব্রতবাবুর মরদেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সতীর্থরা। বিরোধী রাজনীতিকরা, ও বিশিষ্টজনেরা। এখান থেকে মরদেহ যাবে বিধানসভায়, তারপর বালিগঞ্জে তাঁর বাড়িতে কিছুক্ষণের জন্য শায়িত রাখা হবে মরদেহ। তারপর একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে মরদেহ ঘুরে কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশে যাত্রা করবে।