কলকাতা, ২৬ মার্চ: করোনাভাইরাস (Coronavirus) মোকাবিলায় রাজ্যের আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে বিধায়কদের (MLA)অনুরোধ করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জি (Speaker Biman Banerjee)। এক ভিডিয়ো বার্তায় এই আবেদন করেন স্পিকার। তিনি জানান, চলতি মাসে স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও বৈঠক নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে পুরো ভাতা দেওয়া হবে। এমন সময়ে বিধায়কদের উদ্দেশে সেই ভাতা ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে উপস্থিত রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির তরফে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রসঙ্গত, জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য বাম বিধায়করা তাঁদের তহবিল থেকে অন্তত ১০ লাখ অর্থ বরাদ্দ করবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বাম পরিষদীয় দলের এই সিদ্ধান্ত সম্প্রতি জানানো হয়েছে। গতকালই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তরফ থেকে রাজ্য সরকারি ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি অনুদান দেওয়া হয়েছে।সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে একটি চিঠি লেখেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। সেই চিঠিতেই বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী লেখেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং অন্যান্য প্রয়োজনে বাম বিধায়কেরা নূন্যতম ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করবেন । পাশাপাশি তিনি এও লেখেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সামান্য চেষ্টা এটা। তবে এই বিপর্যয়ের মুখে রাজ্যের এক এক জন নাগরিকের এক একটি টাকাও রাজ্যের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা যুদ্ধে মিশে গেল রাজনীতির রঙ, দলমত নির্বিশেষে সকলেই তহবিলে তুলে দিলেন টাকা
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই ২০০ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে যেভাবে করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন শুরু হয়েছে, তাতে ধাক্কা খাচ্ছে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য। যা সার্বিকভাবেই প্রভাব ফেলছে অর্থনীতিতে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় সাহায্যের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সাধ্যমতো অনুদান দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন মহল থেকেই আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে শহরের পুজো কমিটিগুলিও। তাদের যৌথ সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই বিপদের সময়ে। লড়াই জেতার অঙ্গীকার নিয়ে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ টাকা তুলে দিয়েছে।