
নিজের স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে বছরখানেক আগেই জেলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে শ্বশুরবাড়িতে যায় যুবক। আর সেখানেই ঝামেলার সূত্রপাত। স্ত্রীর বাপেরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয় যুবকের। আর সেই গন্ডোগোলের মাঝেই শ্বাশুড়ির ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালাল গুনধর জামাই। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে (Dhupguri) গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
বধূ নির্যাতনে আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত নূর ভক্ত বছরখানেক আগেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, নিজের স্ত্রীকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। মাসখানেক আগে জেল থেকে মুক্তি পায় নূর। বাড়ি ফিরে দেখে তাঁর স্ত্রী সেখানে নেই, বরং সে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। সেই রাগেই এদিন শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় নূর।
পলাতক অভিযুক্ত
অভিযোগ, স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বচসা বাধে নূরের সঙ্গে শ্বাশুড়ি নুরিমা বেগমের। রাগের মাথায় সামনে থাকা একটি কুড়ুল দিয়ে বছর ৪৭-এর নুরিমার পিঠে, মাথায় আঘাত করা হয়। মহিলার চিৎকারে বাড়িতে ঢুকে পড়ে প্রতিবেশীরা। এদিকে বিপদ বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় নূর। তড়িঘড়ি নুরিমাকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।