BLO Join SIR Process (Photo Credit: X@the_hindu)

SIR Documents: আজ, মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবাঙলা সহ দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর পর্ব শুরু হচ্ছে। বিএলও-রা সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করছেন। সবার আগে বিহার দিয়ে শুরু হয়েছিল SIR। সেটা ছিল প্রথম পর্ব। এবার পালা দ্বিতীয় পর্বের। দেশজুড়ে ২০২৬ সালের আগে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্যেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার নাম এসআইআর (Special Intensive Revision)। কমিশনের দাবি এটি করা হচ্ছে, ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম, মৃত বা বাইরের ভোটার, একাধিক জেলায় নাম থাকাদের বাদ দিতে।

এসআইআর নিয়ে দেশজুড়ে নানা প্রশ্ন

কমিশনের দাবি,"যে সব নাগরিকের ভোটাধিকার আছে, তিনি থাকবেন,যে অবৈধভাবে তালিকায় ঢুকেছেন, জায়গা হবে না।"যদিও বিরোধীরা কমিশনকে বিজেপির হাতের পুতুল ও এসআইআর-কে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে দেখছেন। ডিএমকে ইতিমধ্যেই SIR-এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। বাংলার কিছু জায়গায়। এসআইআর-কে নমিয়ে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক রয়েছে।

কীভাবে চলছে এই SIR

এটা শুধু ভোটার তালিকা নাম তোলা নয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই হবে প্রমাণপত্র। বুথস্তরের অফিসার বা বিএলও দরজায় গিয়ে ফর্ম দেবেন, তথ্য মিলিয়ে নেবেন।

কোন কোন ধাপে এসআইআর হবে-

১) বাড়িতে গিয়ে নাম যাচাই, খসড়া তালিকা প্রকাশ, ৩) ভুল থাকলে দাবি-আপত্তি, ৪) শুনানি, ৫) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ।

যোগ্যতার তারিখ: ১ জানুয়ারি ২০২৬

যারা এই তারিখে বা তার আগে ১৮—তারা ভোটার হতে পারবেন।

কমিশনের দাবি, এটা নাগরিকত্ব যাচাই নয়, বরং যোগ্য ভোটার বাছাই।

বাংলা ছাড়া আর কোন কোন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হচ্ছে এসআইআর

উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরল, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ।

কী কী কাগজ চাইতে পারেন বিএলওরা

ঘরে আসার পর প্রথমে কোনও কাগজ লাগবে না। কিন্তু যদি পুরনো রেকর্ডে নাম খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে নোটিস যাবে এবং দেখাতে হতে পারে(নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে যে কোনও একটি)

১) জন্মসনদ বা বার্থ সার্টিফিকেট/স্কুল সার্টিফিকেট

২) সরকারি আইডি

৩) পুরনো ভোটার লিস্টের কপি

৪) সরকারি পেনশন/চাকরির কার্ড

৫) পাসপোর্ট

৬) জমির কাগজ

৭) ন্যূনতম পরিচয়পত্র (যেমন DL, PAN)

বিতর্ক কেন

বিরোধী ও নাগরিক সংগঠনের অভিযোগ, এর ফলে প্রান্তিক মানুষরা কাগজ জোগাড়ে সমস্যায় পড়বেন, এসআইআর-এর দ্রুত সময়সীমায় ভুল বাদ পড়ার সম্ভাবনা, সীমান্ত এলাকায় “বায়াসড কমেন্ট”, অভিবাসী শ্রমিক ও গরিবরা বঞ্চিত হতে পারেন।