Shantiniketan Basanta Utsav Update: শান্তিনিকেতনে দোলের আগেই বসন্ত উৎসব, বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি
শান্তিনিকেতনে দোলের আগেই বসন্ত উৎসব (Photo Credits: Puja Mandal)

কলকাতা, ২০ জানুয়ারি: দোলের (Holi Occasion) আগেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব (Shantiniketan Basanta Utsav)হবে এবছর। পৌষমেলাকে (Poush Mela) কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী (Visva Bharati)। সেই কারণে দোলের আগেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে বসন্ত উৎসব এবার নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি (Partha Chatterjee)।

প্রতিবছরই দোলের দিন বহু মানুষের জমায়েত হয় শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এবছরও ইতিমধ্যেই দোলের দিন বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে শামিল হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন অনেকেই। তবে তার আগেই বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হল যে, দোলের দিন নয় বরং তার অনেকটা আগেই বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্থির করা হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত বন্দনা। পরের দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ হবে বসন্ত উৎসব। এই অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ থাকবে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যেই। কোথায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হবে তাও এখনও স্থির হয়নি বলেই বিশ্ববিদ্যালয় (University) সূত্রে খবর। ঐতিহ্যশালী এই বসন্ত উৎসবে এক প্রকার দাড়ি টানার বিষয়টি ভালভাবে নেননি শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে সরকারের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, এবিষয়ে ইতিমধ্যেই উপাচার্যের (Vice Chancellor) সঙ্গে কথা বলে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee On NPR: 'রাজ্যে এনপিআর চালুর আগে ভালো করে ওটা নিয়ে পড়াশুনো করে নিন' উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যেগুলির প্রতি অনুরোধ মমতা ব্যানার্জির

পৌষ উৎসব উপলক্ষ্যে শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় ডিজে বক্স (DJ) লাগানো থেকে শুরু করে মেলার দোকান তোলা। সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী,  এমনকী দোকানের জায়গা বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই কারণেই এককথায় বিতর্ক এড়াতেই বসন্ত উৎসবে কাটছাটের সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। তবে বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে অধ্যাপক সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও ক্ষুব্ধ হোটল ব্যবসায়ীরা। বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে পর্যটন ব্যবসায়ে বড়সড় প্রভাব ফেলছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।