আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে গত শনিবারই গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল (Abhijit Mondal)। গ্রেফতারির পর রবিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয় দুই অভিযুক্তকে। আর সেখানেই তাঁদের আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে মূলত তথ্য প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গতকাল রাতেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে ভুলভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অ্যারেস্টের মেমো নিয়েও এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তবে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দুজনকেই সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, কেন তথ্য প্রমাণ নষ্ট বা লোপাট করা হল সেই নিয়ে আগামীদিনে দুজনকে জেরা করাও হতে পারে। এর আগে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়ছিল। বলা ভালো, তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে ওটাই ছিল কলকাতা পুলিশের প্রথম গ্রেফতারি। এরপর তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হলে তাঁরা তাঁদের মতো করে তদন্ত করেন। আর তারপরেই এই মামলার দুই অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
Sealdah ACJM ordered a CBI custody (PC) till 17 September for Tala Police Station incharge Abhijit Mondal and RG Kar former principal Dr Sandip Ghosh in connection with RG Kar rape and murder case.
— ANI (@ANI) September 15, 2024
এদিকে আরজি করে দুর্নীতি মামলায় আগেই জেরা করা হয়ছিল সন্দীপ ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আগেও উঠেছিল। কিন্তু কখনই সন্দীপকে গ্রেফতার করার কথা ভাবতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। অবশেষে ১৪ দিন লাগাতার সিবিআই আধিকারিকরা জেরা করে সপ্তাহদুয়েক আগে তাঁকে গ্রেফতার করে।