(Photo: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১৪ মার্চ: এবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সায়েন্স সিটি (Science City), বিড়লা প্ল্যানেটেরিয়াম (Birla Planetarium) ও জাদুঘর (kolkata Museum) ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। আজ নবান্নে (Nabanna) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা দেশে ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, রাষ্ট্র সংঘ ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সেই কারণে ১৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ইন্টারনাল পরীক্ষাও স্থগিত থাকবে। তবে বোর্ডের পরীক্ষা সূচি অনুযায়ী চলবে।

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। কলকাতায় রাজারহাটে (Rajarhat) তৈরি হচ্ছে ২টি আইসোলেশন সেন্টার (Isolation centers)। একইসঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলিতে তৈরি করা হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। আজ একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিয়েছিল। সেই জমিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইনস্টিটিউট। তারা তাদের সেকেন্ড ক্যাম্পাস বানিয়েছিল রাজারহাটে। কিন্তু সেটি এখনও চালু হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত কিছুদিনের জন্য ৯ তলা ওই বিল্ডিংটি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ৩০০ বেডের ওই হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আধুনিক মানের পরিষেবা সেখানে দেওয়া হবে। আরও পড়ুন: Coronavirus Outbreak: সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার, চলবে উচ্চমাধ্যমিক

জানা যাচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই সেন্টারটি তৈরি হয়ে যাবে। আপাতত সেখানেই কোয়ারান্টাইন করে রাখার কাজ চলবে। মমতা ব্যানার্জি বলেন, "আপৎকালীন পরিস্থিতির কারণেই চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসটি নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেই তা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।" পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজারহাটে একই এলাকায় আরও একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেও ২০০ থেকে ৩০০ বেডের আইসোলেশন ফেসিলিটি তৈরি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে শুধু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা রয়েছে। মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৫০ ওয়ার্ডের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে।