কলকাতা, ৬ ডিসেম্বর: শোরগোল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) চিঠি নিয়ে। এবিপি আনন্দের খবর অনুযায়ী, গত ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি লেখেন সারদা-কর্তা। যাবতীয় সংশোধনাগারের বিধি মেনে সেই চিঠি পাঠানো হয় কারা বিভাগের এডিজি ও আইজিকে। আর সেই চিঠিতে উঠে এসেছে কংগ্রেস, সিপিএম দলের বড় বড় নেতাদের নাম, চিঠিতে দাবি করা হয় তাঁরা সারদা-কর্তার থেকে টাকা নিয়েছেন।
এবিপি আনন্দ জানায় এই চিঠির সত্যতা যাচাই করা হয়নি। সুদীপ্ত সেনের ২ পাতার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'অধীর চৌধুরী তাঁর কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। সুজন চক্রবর্তী তাঁর কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা নিয়েছেন। মুকুল রায় প্রচুর টাকা নিয়েছেন। টাকার পরিমাণ কত তিনি মনে করতে পারছেন না। এমনকী, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও ২ কোটি টাকা নিয়েছেন', বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। আরও পড়ুন, করোনা মহামারীর জের, বন্ধ হয়ে গেল টাইমস গ্রুপের ‘পুনে মিরর’ সংবাদপত্র, পাঠকমহলে শোকের ছায়া
যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী, মুকুল রায় এবং বিমান বসু। ক্ষোভ প্রকাশ করে অধীরবাবু বলেছেন, ‘আমার দেখে ভাল লাগছে জোটকে ভয় পেতে শুরু করেছেন মমতা। তার জন্যই এই সব নাম এখন দিচ্ছেন। পুরোটাই হচ্ছে তৈরি করা। আমি তাঁকে চিনিও না। যদি সেরকম হয় মানহানির মামলা করব।’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন বলেছেন, ‘হাস্যকর। আমরাই তো দিনের পর দিন দাবি করেছিলাম যে সারদায় কারা যুক্ত তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে। ৯ বছর পর মনে হল যে আমরা রয়েছি।'
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেছেন, ‘সুদীপ্ত সেন রাজ্য পুলিশের কাস্টডিতে আছেন। পুরোটাই সাজানো। ওর বক্তব্যের না রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা, না গ্রহণযোগ্যতা।’
বিমান বসু বলেন, ‘ও তাই নাকি? দেখা যাবে।’