রায়গঞ্জ, ৪ জুলাই: ক্যানসার রোগীদের যন্ত্রণা বোঝা বড়ই কঠিন, পরম শত্রুকেও যেন এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়। এবার এই মারণ রোগাক্রান্তদের জন্য নিজের এক ঢাল চুল দান করল ছোট্ট তিতির। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ঋষিকা। স্থানীয় ব্যবসায়ী তথা সমাজকর্মী কৌশিক চক্রবর্তীর মেয়ে। বাবার অনুপ্রেরণাতেই নিজের ঝলমলে চুলগুলি দান করে এল সে। এই চুল দিয়েই ক্যানসার রোগীদের জন্য তৈরি হবে উইগ। চুল দান করে বেশ কুশি তিতির। সে জানে আবার তরতরিয়ে বেড়ে উঠবে তার চুল, স্কুলে গেলে বন্ধুরা খেপাতে পারে। তবে আসল কারণটা জানলে তারাও সমর্থন করবে। আরও পড়ুন- যুদ্ধের ভ্রূকুটি কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তি, রথের দিনেই কমল সোনার দাম
এদিকে মেয়ে ঋষিকা যে তাংর কথায় এত বড় সিধান্ত নেবে ভাবতেই পারছেন না বাবা কৌশিক ও মা ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী। তাঁরা দুজনেই এই ভেবে খুশি যে মেয়েও একজন ভাল মনের মানুষ হয়ে উঠছে। সমাজের দুঃখ দুর্দশা বুঝতে শিখছে। এ যে পরম পাওয়া। মেয়ে তো নিজের মুখেই জানাল “আমি চুল দিয়ে দিয়েছি, ক্যানসার পেশেন্টদের জন্য। ওদের তো কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে চুল পড়ে যায়, তাই। আমি পরে আবার দেব চুল, বড় করি আগে!”
তিতিরের এই কাজে খুশি রায়গঞ্জের সমাজসেবী পরিবারের সদস্যরা। তিতিরকে দেখা দেখি সবাই এগিয়ে আসুক উদারতা ও মানবিকতার এক নতুন পৃথিবী গড়ে উঠক এই তিতিরদের হাত ধরে। তাহলে ক্যানসার আক্রান্তরা আর নিজেদের একা ভাবতে পারবেন না, তাঁদের পাশে যে তিতিরের মতো সবুজ কচিকাচার আছে। যারা প্রতিদিন এক বুক অক্সিজেন দিয়ে তাঁদের আগলে রাখবে। দুঃখ তো মোটেও পায়নি, বরং খুশি হয়ে তিতির এও জানিয়েছে, চুল তার লোভনীয় ছিল। হিংসে অনেকেই করত। তবে চুল বড় হলে ফের ক্যানসার রোগীদের উইগ তৈরির জন্য তা দান করে দেবে সে।