কলকাতার বৃষ্টির ফাইল ছবি।(Photo Credits: Wikimedia)

কলকাতা, ২৭ মে: আম্ফান বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গে এখন আর কোনও ঝড়ের পূর্বাভাস নেই। এ তথ্যআগেই জানিয়েছিল আলিপুরের হাওয়া অফিস। এদিন আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। তার উপরে পশ্চিমী জেলাগুলিতে তাপমাত্রাও বেশি রয়েছে। ওই দু’য়ের প্রভাবেই এমন ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আগামী শুক্রবার সেটি উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে নেমে আসতে পারে। তার ফলে দমকা হাওয়ার জোর কমলেও কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে (West Bengal) হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তাহেল দেখা গেল ঝড়ের ভ্রূকুটি নয়, বৃষ্টির পূর্বাভাসই এখন বঙ্গবাসীর মনে আশঙ্কার মেঘ জমাচ্ছে। কেননা আম্ফান ঘূর্ণিঝড় এখনও সপ্তাহ পেরোয়নি।

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বহু বাসিন্দা নিজেদের আশ্রয়টুকু হারিয়েছেন আম্ফানের গ্রাসে। মাথার উপরে ছাদ নেই। পরণের কাপড় নেই। পেটে ভাত জোটাই যেখানে দায় হয়েছে, সেখানে যদি ফের বৃষ্টি নামে তাহলে কী হবে? এটাই এখন বঙ্গবাসীর প্রশ্ন। ঝড়ের তাণ্ডেব দুই ২৪ পরগণা ও কলকাতার বেহাল দশা। সেনার প্রচেষ্টায় গাছ সরানো গেলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না, এক সপ্তাহ হয়ে গেল। ইন্টারনেট পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়নি। তসব হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে সাইক্লোন বিধ্বস্তরা। এই পরিস্থিতিতে যদি শুক্রবার থেকে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয় তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। আরও পড়ুন- Zomato Starts Delivery Alcohol: ঝাড়খণ্ডের পর এবার ওড়িশাতেও অনলাইনে মিলবে মদ, পরিষেবা দিচ্ছে জোম্যাটো

তবে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপরে মানুষের করণীয় কিছু নেই। তাই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও তা মেনেই নিতে হবে। এমনিতেই কয়েকদিনের দমকা ঝোরো হাওয়াতে গুজব ছড়িয়েছিল ফের আসছে ঘূর্ণিঝড়। যা নাকি আম্ফানের থেকেও অনেক বেশি ভয়াবহ। আবহাওয়া দপ্তর বিবৃতি দিয়ে সেই গুজব ওড়ালেও বৃষ্টি কিন্তু আসছে। তবে তা বর্ষার বৃষ্টি নয়। কেননা কেরালায় এবার বর্ষা আসছে ৫ জুন। তারও পরে বোঝা যাবে বাংলায় কবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমিবায়ু প্রবেশ করবে। এদিকে অতিবৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স। বহুনদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সেখানে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।