নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের চিত্র (Photo: Twitter)

কলকাতা, ১৫ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (Citizenship Act) নিয়ে দুদিন ধরে অশান্তি অব্যাহত রয়েছে রাজ্যে৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার থেকে চলছে বিক্ষোভ৷ গতকাল স্টেশনে ভাঙচুর সহ ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনে পরামর্শ দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, আইন হাতে তুলে নিলে সরকার তা বরদাস্ত করবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারদের (Police Super) সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র (Virendra )। রবিবারের মধ্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ সুপারদের তাঁর নির্দেশ, শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করলে অসুবিধা নেই। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত গ্ৰেফতার করতে হবে। সরকারি সম্পত্তি যারা ধ্বংস করবে তাদের বিরুদ্ধে নতুন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে সব জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।

জানা যাচ্ছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে কথা হয় রেল কর্তৃপক্ষেরও। রেল জানিয়েছে, রাজ্যের সহায়তা ছাড়া হিংসা জারি থাকা এলাকায় ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেন ডিজি। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বার্তা দিয়েছেন,"গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" আরও পড়ুন: Miss World 2019: মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৯-এর খেতাব জিতলেন জ্যামাইকার টোনি-আন সিং

আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বেলডাঙা, উলুবেড়িয়া, সাঁতরাগাছি-সহ সব ক’টি ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের সাইবার-থানায় এক জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এবং যে সব এলাকায় ট্রেন বা স্টেশনে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেখানে পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, পর্যাপ্ত পুলিশ না-থাকায় বিক্ষোভকারীদের আটকানো যায়নি। আর শান্তিরক্ষায় রাজ্যকে ‘ব্যর্থ’ হিসেবে দোষারোপ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘যারা আন্দোলন করছে, তারা সন্ত্রাসবাদী ও অনুপ্রবেশকারী।’’