ফুটবলের শহর মহানগর কলকাতা। মাঠে ময়দানে কয়েক দশক ধরে চলে আসছে ইলিশ-চিংড়ির দ্বন্দ্ব। বাঙালিদের মধ্যে এই বিভাজন যে শুধু মাঠ বা পাত কিংবা আড্ডার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, আদপে যে আমাদের রক্তে মিশে আছে দুষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, তা স্পষ্ট হল এই রবিবার। আরজি কর (RG Kar Medical College and Hospital) কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার মাঠের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টিম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ভক্তরা একসঙ্গে নামল রাজপথে। নিহত তরুণী ও তাঁর পরিবারের ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বিক্ষোভ মিছিলে নামে দুই দলের সমর্থকেরা। তাঁদের আটকে গোটা এলাকা কার্যত ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আর তাতেই আহত হন দুই দলের একাধিক সমর্থক। এমনকী বেশকয়েকজনকে আটক করে বলেও জানা যায়।
তবে প্রিজন ভ্যানের সামনে প্রতিবাদ দেখায় সমর্থকেরা। যে কারণে অনেককে ছাড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনিও এই মিছিলে সামিল হন। শেষে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনকারীদের হটানো গেলেও বেলেঘাটা মোড়, যুবভারতীর ভিআইপি গেটের সামনে, বেঙ্গল কেমিকাল চত্বরে দফায় দফায় বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করেন। অন্যদিকে এই বিক্ষোভের কারণে বাইপাস চত্বরে যান চলাচল কার্যত অবরুদ্ধ। একাধিক গাড়ি, বাস, দীর্ঘক্ষণ আটকে রয়েছে।
#WATCH | West Bengal: Protest held near Salt Lake stadium in Kolkata against the rape and murder of a woman resident doctor in RG Kar Medical College and Hospital. pic.twitter.com/Uu8P5omlJg
— ANI (@ANI) August 18, 2024
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমায়েত বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ছিল। এরমধ্যে আজ যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের গুরুত্বপূর্ণ খেলা ছিল। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের এই ডার্বি ঘিরে বড় অশান্তি হওয়ার আশঙ্কা করছিল লালবাজার। সেই কারণ ডুরান্ড কাপ কর্তৃপক্ষকে শনিবার এই ম্যাচটি বাতিল করার আবেদন জানানো হয়। আর এই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যত আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে। কয়েক হাজার সমর্থকদের ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে বাইপাস চত্বর।