কলকাতা, ১২ অগাস্ট: আরজি কর ( RG Kar Medical College) কাণ্ডে রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে, তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে সিবিআই-য়ের হাতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের এমন ঘোষণার পর তদন্তকারীদের মধ্যে অতিরিক্ত তৎপরতা চোখে পড়ল। মোবাইলের তথ্য উদ্ধারের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তার আগে এদিন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তারদের জিজ্ঞাদাবাদ করা হয় বলে খবর। এদিকে,ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার হাড় ভাঙার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনটাই লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। পুলিশি জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে সে। কিন্তু এমন ঘৃণ্য অপরাধের জন্যে তার মধ্যে কোন অনুতাপ নেই বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর শুক্রবার ভোরে নিজের আস্তানায় ফিরে সোজা ঘুমিয়ে পড়ে মদ্যপ সঞ্জয়। ঘুম থেকে উঠে জামায় লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করে সে। তবে রক্তের দাগ রয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তের জুতোয়। রক্তের ছোপ দাগা সেই জুতো এবং জামা পরবর্তীকালে তল্লাশির সময়ে উদ্ধার করে পুলিশ। আরও পড়ুন-রাজপথ জুড়ে জনগণের গর্জন, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে নাগরিক মিছিল
দেখুন ভিডিয়ো
#WATCH | Kolkata, West Bengal: Police Dog Squad arrives at the RG Kar Medical College in the case related to the sexual assault and murder of a woman post-graduate trainee (PGT) doctor at Kolkata's RG Kar Medical College and Hospital, on August 9. pic.twitter.com/NrufLY4jwa
— ANI (@ANI) August 12, 2024
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় অর্ধনগ্ন চিকিৎসকের দেহ। তাঁর শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, অভিযুক্ত গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছে মাত্র ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে। এত অল্প সময়ের মধ্যে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং মাথ থেকে পা পর্যন্ত একাধিক আঘাত করা একজন ব্যক্তির পক্ষে কীভাবে সম্ভব, সেই রহস্যের কিনারা করে চলছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল।