Murshidabad Triple Murder Case: ক্রমশ সামনে আসছে জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবারের ঘটনার পিছনে আসল কারণ। মুশির্দাবাদের জিয়াগঞ্জে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে খুনের পিছনে মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা (Utpal Behra)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপলই যে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তা নিয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। দুর্গাপুজোর দশমী দুপুরে নিজের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন বন্ধুপ্রকাশ (Bandhu Prakash Pal), তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল (Beauty Pal) ও তাদের ছেলে অঙ্গন। যে খুন নিয়ে গোটা দেশের মিডিয়া তোলপাড় হয়েছিল। তবে পুলিশের দাবি, এই নৃশংসা হত্যাকাণ্ডে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
গত কয়েকদিন ধরে খুনের তদন্তে জোর বাড়ায় পুলিশ। জিয়াগঞ্জ থানায় ডেকে জেরা করা হয় ওই খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তিকে। গতকালে তৎপরতা বাড়িয়ে রাতে সিআইডির প্রতিনিধিদল রামপুরহাটের একাধিক জায়গায় হানা দেয়। আরও পড়ুন-অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘নোবেল পাচ্ছি, খবর পেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম’
রাজনীতি নয়, বরং আর্থিক-ব্যক্তিগত কারণেই এই খুনের পিছনে আসল কারণ হতে পারে। ধৃত উত্পল বেহেরা সাগরদিঘির বাসিন্দা৷ পুলিশের দাবি মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য মিলেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, খুন হওয়া বন্ধুপ্রকাশের কাছে ৪৭ হাজার টাকা পেত উত্পল বেহরা। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতে বন্ধুপ্রকাশ নাকি গালিগালাজ করেন উত্পলকে। আর তার জেরেই ঠান্ডা মাথায় ওই খুনের পরিকল্পনা করে উত্পল।
জেলা পুলিশের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে CID। শনিবার তদন্তকারীদের একটি দল জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে ঘটনাস্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন। ভবানীভবন সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে। CID-র তদন্তকারীরা আটক ব্যক্তিদর জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেও সূত্রের খবর। পাশাপাশি যে ব্যক্তিরা খুনের পর আততায়ীদের বাড়ির পিছন দিয়ে পালাতে দেখেছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে পারে তদন্তকারী দল। পুলিশ এই খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে না। এর নেপথ্যে পারিবারিক সমস্যা অথবা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা। আক্রোশের জেরে সুপারি কিলার দিয়ে বন্ধুপ্রকাশ, তাঁর স্ত্রী বিউটি এবং পাঁচ বছরের ছেলে অঙ্গনকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।