প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File Photo)

কলকাতা, ১০ অক্টোবর: চলছে রহস্যের উদ্ঘাটন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad district) জিয়াগঞ্জে দশমীর (Dashami) দিন দুপুরে খুন (Murder) হন একই পরিবারের তিন সদস্য (3 Members)। বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় স্বামী, স্ত্রী ও ছয় বছরের শিশুসন্তানের ক্ষতবিক্ষত দেহ। প্রশ্ন জাগে কে খুন করল গোটা পরিবারকে? প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশের সন্দেহ এক 'তৃতীয় ব্যক্তি' কে নিয়ে।

দশমীর দুপুরে বাড়ির মধ্য থেকেই উদ্ধার হয় প্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল ও তাঁদের ৬ বছরের ছেলের নিথর দেহ। প্রকাশ পাল ছিলেন পেশায় শিক্ষক। জিয়াগঞ্জের কানাইগঞ্জ লেবুবাগান এলাকায় স্ত্রী- পুত্রের সঙ্গে থাকতেন প্রকাশ পাল। খুনের ঘটনায় তদন্তে নামে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরও পড়ুন, দশমীর পর রেড রোডে ব্যস্ততা তুঙ্গে, দিন- রাত এক করে চলছে কার্নিভালের প্রস্তুতি

২৪ ঘন্টার খবর অনুযায়ী প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এক 'তৃতীয় ব্যক্তির' উপস্থিতি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। শিক্ষকের জিয়াগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ডায়েরির একটি পাতা। বেশ কয়েক বছর ধরেই চিড় ধরেছিল দাম্পত্যে। ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত প্রায়। মোবাইলের কললিস্ট ও মোবাইল থেকে পাওয়া কিছু ছবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের পিছনে ওই ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন সেই তৃতীয় ব্যক্তির বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটের দিকে। তাঁকে খুঁজতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, পেশায় শিক্ষক প্রকাশ পাল সাগরদিঘিতে থাকার সময় স্থানীয় একজনের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ধার করেছিলেন। সেই নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। দেড় বছর আগে তিনি সপরিবারে সাগরদিঘি থেকে জিয়াগঞ্জে চলে আসেন। খুনের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবার তিনি আরএসএসের সদস্য বলেও জানা গেছে। একইসঙ্গে পুলিশ আরও সন্দেহ করছে, কোনও পরিচিত ব্যক্তিই খুনের পিছনে জড়িত আছে। খুনের আগে মাদক অথবা কোনও নেশার সামগ্রী খাওয়ানো হয়েছিল। তিনজন অচৈতন্য হয়ে পড়লে তবেই খুন করা হয়। আগামী ২৪ ঘন্টায় খুনের কিনারা হবে বলে জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পাওয়া ডায়েরিটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।