কলকাতা, ৫ জুলাই: রাজ্যের কাছে টাকা নেই তো কী হয়েছে, কাটমানির টাকা থেকে রাজ্য সরকারকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ধার দিক না তৃণমূল। তাহলেই তো মিটে যায়। রাজ্যের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, বিধানসভায় তানিয়েই দলীয় ও বিরোধী বিধায়কদের কাছে সাজেশন চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিজেপি রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই সাজেশন দিলেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। আরও পড়ুন-Durga Puja 2019: মহম্মদ আলি পার্কে হচ্ছে না দুর্গাপুজো, কী বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম?
মুকুল রায় এদিন বলেন, তৃণমূলের পার্টি তহবিলে কাটমানি বাবদ পাওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকা আছে। মূলত কাটমানির ৭৫ শতাংশই পার্টির তহবিলে আসে। সেই টাকা থেকেই রাজ্য সরকারকে ধার দিক শাসকদল। তাহলেই তো সরকারের অর্থ কষ্ট ঘুচে যায়। রোজগার বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আর মাথা ঘামাতে হয় না। এদিন তৃণমূলের বিধায়কদের নিয়ে চিন্তি দলনেত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কোনও বিধায়ককে বিজেপির পক্ষে বিরক্ত করার কোনও উদাহরণ দিতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। আসলে তৃণমূল বিধায়করাই বিজেপি নেতাদের টেলিফোনে বিরক্ত করে চলেছেন। সবারই এক প্রশ্ন, আমায় কবে দলে নেবেন?”
বিধানসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি তাঁর দলের বিধায়কদের খুব ডিস্টার্ব করছে। যখন তখন ফোন করে দলে যোগ দেওয়ার কথা বলছে। মুকুলবাবুর পাল্টা দাবি, বিজেপি নয়, তৃণমূলের বিধায়করাই ফোন করে বিজেপি নেতাদের জ্বালাচ্ছেন। দলে আসার জন্য বায়না করছেন। এমনিতেই মুকুল রায়ের হাত ধরে দলে দলে বিজেপি-তে চলে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকরা। তাতে মুকুল রায়ের এহেন খোঁটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতক্ষণ প্রতিক্রিয়হীন থেকে হজম করতে পারেন এখন সেটাই দেখার। আর কাটমানির প্রসঙ্গে তো বেজায় বিপাকে শাসকদল, ফের রাজ্যকে ঋণ দেওয়া নিয়ে সেই কাটমানিকেই সামনে আনার জন্য নিশ্চই মুকুলবাবুর পুরনো রাজনৈতিক সহকর্মীরা তাঁর মুণ্ডুপাত করছেন, বাকিটা না হল উহ্যই থাকল। এমনটাই দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের।