নতুন দিল্লি, ১০ জুন: তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে দু'জন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। প্রথমবার মন্ত্রী হয়েই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পেলেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবও কাজ করবেন বালুরঘাটের সাংসদ। সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে অধ্যাপনা করতেন সুকান্ত। এর আগে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এবার তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তীর কাছে হেরে যাওয়ায় আর মন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। সুভাষের জায়গায় সুকান্তকে আনলেন মোদী।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের প্রতিমন্ত্রী হওয়া সুকান্ত হচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-র দায়িত্ব। প্রসঙ্গত, অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক থেকে সরিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-কে বস্ত্র ও উত্তর পূর্ব ভারতের উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বনগাঁয় টানা দু বার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবারও জাহাজ প্রতিমন্ত্রী থাকছেন। অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বাননন্দ সোনওয়ালের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন মতুয়া গড়ের সাংসদ।
আরও পড়ুন- তৃতীয় মোদী সরকারে কে কী মন্ত্রী হচ্ছেন জানুন এক নজরে
দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে চারজন মোদী ছিলেন। শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক ও সুভাষ সরকার। এর মধ্যে কোচবিহার ও বাঁকুড়া থেকে ভোটে হেরেছেন যথাক্রমে নিশীথ প্রামাণিক ও সুভাষ সরকার। আর আলিপুরদুয়ার থেকে ২০১৯ লোকসভায় জেতা জন বার্লাকে এবার আর প্রার্থী করেনি দল। গতবারের মত এবারও শান্তনু-কে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। সঙ্গে আনা হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। জল্পনা চললেও তমলুকের সাংসদ অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় বা নিজে দাবি তুললেও বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ-কে মন্ত্রী করা হয়নি।