ডায়মন্ড হারবারের পর এবার হাড়োয়া। ফের হাসপাতালে শ্লীলতাহানির ঘটনা। এবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করল হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকালে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে (Haroa Rural Hospital) কিশোরীর রক্তচাপ মাপার নামে শরীরে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে ওই কর্মী। মেয়েটির আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলে হুমকি দিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নাবালিকা
পরিবারের অভিযোগ, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জ্বর, বমি, জন্য হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নাবালিকাকে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা-ও। বৃহস্পতিবার রাতে একই সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এদিন সকালে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তাঁর মা। সেই সময় শেখ রিয়াজ নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর রক্তচাপ মাপতে আসেন। বেডেই পরীক্ষা করে সে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আবারও সে আসে এবং তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য অন্য একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বাস্থ্যপরীক্ষার নামে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি
অভিযোগ, সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার নামে অশ্লীলভাবে তাঁর গায়ে হাত দেয়। বিপদ বুঝতে পেরে দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। তখন রিয়াজ দরজা আগলে দাড়ালে চিৎকার করে ওঠে নাবালিকা। ধরার ভয়ে মেয়েটিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর কাঁদতে কাঁদতে ওয়ার্ডে ফিরে এসে মাকে সব কথা জানায় সে। তারপর পরিবারের বাকি সদস্যরা জানেন।
গ্রেফতার অভিযুক্ত
পরিবারের দাবি, প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেয় না। তারপর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে রাস্তা আটকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নাবালিকার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। তারপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা