রায়দিঘি, ৩ এপ্রিল: “দেবশ্রীকে নিয়ে রায়দিঘিতে ক্ষোভ থাকায় তাঁকে এ বার প্রার্থী করিনি।” রায়দিঘির সভায় প্রাক্তন বিধায়কের দলত্যাগ সম্পর্কে এই সাফাই দিলেন মমতা। যার জবাবে রাজনীতি ছেড়ে আপাতত অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত দেবশ্রী বললেন, “ওঁর কথা উনি বলেছেন। কিন্তু ‘প্রার্থী করিনি’ বলা ঠিক নয়। বরং আমিই রায়দিঘিতে প্রার্থী হতে চাইনি। দিদিকে আদর্শ ভেবেই ওঁর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম। বুঝতে পারিনি, ওঁর থেকে এত বড় পুরস্কার পাব। দিদিকে ধন্যবাদ।” ওই জনসভা থেকে জনতার উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “বিজেপি পুলিশের ড্রেস পরিয়ে ফেক পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের লোককে ভয় দেখাচ্ছে। ওদের কথা শুনবেন না। ভোটের পর ওরা পালাবে। আমরা বাংলার লোক, আমরাই থাকব।”
এদিন তিনি নাম না করেই আসাদউদ্দিন ওয়েসি ও আব্বাস সিদ্দিকিকেও আক্রমণ করে বলেন, “হায়দরাবাদ থেকে বিজেপির এক বন্ধু এসেছে। সঙ্গে নিয়েছে ফুরফুরার এক চ্যাংড়াকে। ওরা কয়েক কোটি টাকা খরচ করে মুসলিম ভোট ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে।সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছে। ওদের একটাও ভোট নয়। ওদের একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।” তবে আব্বাসও কম যান না। তিনিও বাংলায় বিজেপির রমরমার নেপথ্যে তৃণমূলকেই দোষী ঠাউরেছেন। তাঁর মতে, মমতা হলেন বিজেপির পরমবন্ধু। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। তৃণমূলকে হারানো মানে বিজেপিকেই হারানো। আব্বাসের সভায় তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতিতে রিতিমতো চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেস। আরও পড়ুন-Kumbh Mela 2021: কুম্ভ মেলায় শাহী স্নান, এই চারদিন ট্রেন আসবে না হরিদ্বারে
সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে যেভাবে আব্বাসকে প্রচার মঞ্চ থেকে বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে, তাতে চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেস। জনতার উদ্দেশ্যে আব্বাস বলছেন, ইমামভাতা দিয়ে মমতা মুসলিমদের ভিক্ষা দিচ্ছেন। ধোঁকা দিচ্ছেন। ইমামের ঘরের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। মুসলিমরা শিক্ষায় ও কর্মসংস্থানে পিছিয়ে রয়েছে। মহরমের দিন দুর্গাপুজোর ভাসান বন্ধ করে ঘোমটা দিয়ে নামাজে বসে আদতে বাংলায় হিন্দু মুসলিমের মধ্যে বিভাজন ডেকে এনেছেন মমতা। ভোটবাক্স সুরক্ষিত কতে গিয়ে উল্টে মুসলিমদের সর্বনাশ করেছেন।