কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ (North Bengal) জুড়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থারও ব্যাঘাত ঘটছে। সেই ভারী বৃষ্টির মধ্যে হুকিং করে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে গিয়ে দুর্যোগ নেমে আসে এক পরিবারে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে পরিবারের চার সদস্যের। মৃতদের মধ্যে রয়েছে চার বছরের এক শিশুও। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার গাজলডোবায়। আজ রবিবার বৃষ্টি বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখাও করেন তিনি।
এরপর সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন মর্মান্তিক ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তার জন্যে সতর্কবার্তা দিয়ে মমতার অনুরোধ, বৃষ্টির মধ্যে দয়া করে কেউ বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে যাবেন না। আর কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে উলটে তাঁকে না স্পষ্ট করে কাঠের মাধ্যমে তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করুণ।
উত্তরবঙ্গে মমতার সাংবাদিক বৈঠক...
VIDEO | West Bengal CM Mamata Banerjee (@MamataOfficial ) addresses a press conference in Siliguri after meeting the family of four persons who died in tragic electrocution incident in Jalpaiguri's Gajoldoba.
(Full video available on PTI Videos - https://t.co/n147TvqRQz) pic.twitter.com/YeIN4M2klT
— Press Trust of India (@PTI_News) September 29, 2024
এদিকে পুজোর মুখে শনিবার শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে (Siliguri Bidhan Market Fire)। পুড়ে ছাই হয় পর পর ছয়টি দোকান। সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিধান মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন তৃণমূল নেত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন তিনি। জানান, জামাকাপড় এবং কসমেটিকস মিলিয়ে এদিন মোট ছয়টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। সেই ছয়টি দোকান রাজ্য সরকার নতুন করে তৈরি করে দেবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'যেহেতু পুজোর মুখে ব্যবসায়ীদের দোকান পুড়ে গিয়েছে তাই সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে'।