দিল্লি গেলেন মমতা ব্যানার্জি, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'পাওনা টাকা, রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে কথা হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে'
মমতা ব্যানার্জি ও নরেন্দ্র মোদি (Photo credits : ANI)

কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর : দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। ভেতরে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের জানান, রুটিন সফরেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেনের (Jashodaben)। একে অপরকে দেখে সৌজন্য বিনিময় করেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫.২৫ মিনিটে দিল্লি পৌঁছোনোর কথা মমতা ব্যানার্জির। মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দরে বলেন, "আমি তো ৩৬৫ দিন কলকাতাতেই থাকি। দিল্লি খুব কম যাই। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই রয়েছেন। তাই কখনও কখনও রাজ্যের কাজে যেতে হয়। এটা রুটিন কাজ।" তিনি আরও বলেন, "দিল্লি যাচ্ছি কারণ রাজ্যের কিছু টাকা পাওনা আছে। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে গেইল-এর কিছু প্রবলেম আছে। সুযোগ পেলে সেসব নিয়ে কথা বলব। রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও কথা হবে। ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করার বিষয়েও আলোচনা করব।"

দিল্লিতে মমতার সফরসূচির খবর নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, বুধবার বিকাল সাড়ে চারটেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যদিও বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমই মোদি-মমতার সাক্ষাতের কোনও তারিখ উল্লেখ করেনি। তবে যা শোনা যাচ্ছে তাতে বুধবার বিকালে মোদির সঙ্গে দেখা করার পরদিন দিল্লিতেই থাকবেন মমতা। বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ সারতে পারেন বলে জল্পনা। মমতার দিল্লি সফর ঘিরে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। আরও পড়ুন : ধর্মান্তকরণের অভিযোগ থাকলে বিদেশি অনুদান নেওয়া যাবে না, এনজিও গুলিকে সতর্ক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, বেশ কয়েকদিন আগেই নাকি প্রধানমন্ত্রী-র সঙ্গে বৈঠকের সময় চাওয়া হয়েছিল। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর (Prime minister office) থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটেয় সময় বরাদ্দ করা হয়েছে মমতা ব্যানার্জি-র জন্য। রাজ্যের উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়ে মোদির সঙ্গেও কথা বলতে পারেন মমতা। এমনটাই নবান্নে সূত্রে খবর।

দেশে এখন মোদি বিরোধিতার সবচেয়ে জোরালো সুর মমতাই। লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি-র বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলেছিলেন মমতা। যদিও মোদি তিনশো বেশি আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় আসেন। রাজ্যেও দিদিগড়ে বড় দাগ কেটে বিজেপি ১৮টি আসন জেতে। ভোটের পর ইভিএম নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। কাশ্মীর ইস্যুতেও মোদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা। এদিকে, সারদা-নারদা সহ বিভিন্ন কাণ্ডে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই। সব মিলিয়ে মমতা-মোদির সম্পর্কটা তলানিতে ঠেকেছে। বছর দেড়েক পর দু জনের সাক্ষাতে কতটা বরফ গলে সেটাই দেখার।