কলকাতা, ১৫ মে, ২০১৯: আজও মিলল না সমাধান সূত্র। ধর্মঘটের পঞ্চম দিনেও নিজেদের দাবিতে অনড় এনআরএসের জুনিযর ডাক্তাররা। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না তাঁরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এনআরএসের (NRS)আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা(Junior Doctors)। গতকাল সমাধান সূত্র বের করার লক্ষ্যে নবান্নে গিয়েছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে এনআরএসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারী ছাত্ররা তাতে রাজি হননি। শেষে আজ, শনিবার বিকেল পাঁচটায় আবারও এই বৈঠকে বসার কথা। কিন্তু আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা নাবান্নে যেতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এনআরএসে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য নবান্নে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র পৌঁছন এনআরএসে। কিন্তু তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আসতে হবে তাঁদের ক্যাম্পাসে। নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার বিকেল পাঁচটায় জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য অপেক্ষা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অনড় আন্দোলনরত হবু চিকিৎকরা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কালও যাবেন না। বরং মুখ্যমন্ত্রীকেই আসতে হবে।আরও পড়ুন, এনআরএসের সমর্থনে সোমবার দেশের সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্মঘটের ডাক দিল আইএমএ
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের সামনে না এসে এসএসকেএমে গিয়ে ধমক দিয়েছেন। তাঁদের বহিরাগতও বলেছেন। এজন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করছেন, দোষীদের না ধরে তাঁদের কার্যত কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি(Mamata Banerjee। ফলে মুখ্যমন্ত্রী গতকালের চেয়ে সুর নরম করলেও জেদ ধরে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন দেখার, শনিবার দুপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়?
উল্লেখ্য, অচলাবস্থা কাটাতে সন্ধেয় সুকুমার মুখোপাধ্যায়, এম এল সাহা, অলকেন্দু ঘোষ, অভিজিৎ চৌধুরীর মতো বিশিষ্ট চিকিত্সকদের নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই মমতাকে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন সিনিয়ররা।