কলকাতা: লালন শেখের (Lalan Sheikh) রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে সিবিআইয়ের (CBI) টানাপোড়েন চলছে, বোগটুই (Bogtui) কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, রবিবার রাজ্যের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (Criminal Investigation Department) (সিআইডি) কেন্দ্রীয় সংস্থাকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে মৃত্যু হয় শেখের। জানা গিয়েছে, বোগটুই গণহত্যার তদন্ত দফতর বিলাস বালা মাদঘুটে, পাঠানো নোটিশে সিআইডি কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে। নোটিসে বীরভূম (Birbhum) জেলার সিবিআইয়ের রামপুরহাট (Rampurhat) ক্যাম্প অফিসে লালন শেখের মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা। ১২ ডিসেম্বর সন্ধেয় অভিযুক্তের মৃত্যু কবে হয়েছে, রামপুরহাট ক্যাম্প অফিসে কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, সে বিষয়েও সিআইডি বোগটুইয়ের তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি বোগটুইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে ক্যাম্প অফিসে থাকা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সিআইডি-র কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নোটিসের ভিত্তিতে সিআইডি-কে যত দ্রুত সম্ভব নিজের রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে সিবিআই অফিসারকে। Kolkata Swimming Club Fire: পুড়ল কলকাতার আইকনিক সুইমিং ক্লাব, কোনও হতাহতের খবর নেই
প্রসঙ্গত, লালন শেখ মৃত্যু মামলায় সাত সিবিআই অফিসারের নাম উল্লেখ করে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রথমে এফআইআর দায়ের করেছিল এবং পরে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করে। তথাপি, সুশান্ত ভট্টাচার্যের নাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই, পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচার কেলেঙ্কারির তদন্তকারী অফিসার এবং বাগতুই মামলার তদন্তকারী পৃথক সিবিআই দলের সঙ্গে যার কোনও সম্পর্ক নেই, একথা এফআইআর-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের (Justice Jay Sengupta) একক বেঞ্চ সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেও, এফআইআর-এ নাম থাকা সাত সিবিআই অফিসারের মধ্যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার কোনও সুসংহত পদক্ষেপ না নেয়।