কলকাতা, ২৩ জুলাই: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন ঘটনার কারণে কলকাতা প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জির (Shovan Chatterjee) থেকে বেশ দূরত্বই রেখেছিল গেরুয়া শিবির। তবে এবার সেই দূরত্ব কাটতে চলেছে বলে খবর। বিজেপি ও শোভনের মধ্যেকার দেওয়াল ভাঙতে চলেছে। গতকাল ২২ জুলাই থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বঙ্গ বিজেপির বাছাই করা নেতারা। শোনা যাচ্ছে এবার সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন শোভন চ্যাটার্জি। এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই বৈঠক। শোভন ঘনিষ্ঠদের কথা মতো সম্ভবত ২৩ তারিখ অর্থাৎ আজ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে যে কোনওদিন ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ আগস্ট বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী। গিয়ে দেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি দপ্তরে বসে রয়েছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। কিন্তু দেবশ্রীকে দেখেই বেঁকে বসেন শোভন ও তাঁর বান্ধবী। বিজেপি নেতাদের জানিয়ে দেন, উনি যোগ দিলে তাঁরা নেই। এরপর দেবশ্রীকে বুঝিয়েসুঝিয়ে বাড়ি পাঠান বিজেপি নেতারা। শেষমেশ পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন শোভন-বৈশাখী। কিন্তু তারপর থেকে একাধিকবার সংঘাত হয়েছে বিজেপি ও শোভনদের। কোনও কর্মসূচিতেই যোগ দেননি তাঁরা। উল্টে ভাইফোঁটার দিন দিদির বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন শোভন। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখীও। এখন দেখার, একুশের বিধানসভার আগে শোভন ফের রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হন কি না। এদিকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ দেখালেও সিওপিডির সমস্যার কারণে হয়তো দিল্লি নাও যেতে পারেন শোভন চ্যাটার্জি। তাহলে হয়তো ভার্চুয়াল বৈঠকেই যোগ দেবেন তিনি। আরও পড়ুন-Work From Home Norms Extended: মাত্রা ছাড়া সংক্রমণের জের, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি থেকেই কাজ করবেন আইটি ও বিপিও কর্মীরা
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদেরও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে জেলা ধরে আসনভিত্তিক পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার জন্যই এই ম্যারাথন বৈঠকের আয়োজন। কোন জেলার কোন আসনে কতটা শক্তি, কী দুর্বলতা সেসবেরই ময়নাতদন্ত হবে এই বৈঠকে। তারপর আসন ধরে তৈরি হবে সংগঠন ঢেলে সাজার কাজ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বৈঠকে থাকছেন বাংলার মূল পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দুই সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং শিবপ্রকাশ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ দিনে বাংলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ।