কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: গত তিনদিন ধরে চলছে দিল্লিতে বিক্ষোভ (Delhi Violence)।জ্বলছে দোকানপাট, গাড়ি, বাড়ি। কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে শুরু হয়েছিল সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে অবস্থান। ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় অবস্থান। যাতে যোগ দিয়েছিলেন সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলারা। মঙ্গলবার পূর্ণ হল সেই বিক্ষোভের ৫০ দিন। এর মধ্যেই রবিবার থেকে আগুন জ্বলছে দিল্লিতে। দিল্লির অশান্তি দেখে তারা শান্তির জন্য প্রার্থনা করে।
অশান্তিকে কেন্দ্র করে শাহিনবাগ অবস্থানকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পার্ক সার্কাস ময়দান (Park Circus Maidan) চত্বরেও ছিল নিরাপত্তা। বিকেলের পর থেকে এই চত্বরে লোকের আনাগোনা বাড়ে তাই পুলিশের নজরদারিও বাড়ানো হয়। অবস্থান-মঞ্চে আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে নারী সংহতি পত্রিকার মহিলারা গান গেয়েছেন, কবিতা পাঠ করেছেন। বক্তৃতাও দিয়েছেন। এসেছেন বহু সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই ময়দান চত্বরে ছড়িয়ে থাকা সমর্থকদের জটলা। দিল্লির অশান্তি। যাঁরা আলোচনা করছিলেন, তাঁদের সবার মুখে ভয়, আতঙ্কের ছাপ। আরও পড়ুন, পার্ক সার্কাসের আন্দোলন মঞ্চেই মৃত্যু হল আন্দোলনকারী প্রৌঢ়া সমিদা খাতুনের
এই সময়-র খবর অনুযায়ী, পার্ক সার্কাসের আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারকে এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন। অবস্থান মঞ্চ থেকেও তোলা হয়েছে ‘আজাদির লড়াই’য়ের স্লোগান। দিল্লির নানা ছবি, ভিডিও যত সামনে এসেছে, তত জোরালো হয়েছে বিক্ষোভের স্বর। তাতে গলা মিলিয়েছেন অবস্থানে হাজির মুসলিম মায়েরাও। কোনও ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ব্যানার নয়, এই ধর্মনিরপেক্ষতারই কথা বলছিলেন সংগঠকদের পক্ষে শাজাহান আজাদ। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা একটা ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবকে সামনে রেখে এই আন্দোলন করছি। নয়া নাগরিকত্ব আইনে শুধু মুসলিম নয়, হিন্দুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সেটাই মানুষের সামনে তুলে ধরছি।’