কলকাতা, ১ নভেম্বর: দিন দুয়েক আগেই কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ৫ শ্রমিক। এই ঘটনায় কেন্দ্রের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আর উপত্যকায় বাঙালি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছিলেন না তিনি। তাইতো বাকি ১৩১ জন শ্রমিককে রাজ্যে ফেরানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। গতকাল রাত থেকে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি। শুক্রবার সকালেই কাশ্মীর উড়ে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের দুই আধিকারিক। এঁরা হলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সঞ্জয় সিং ও সিআইডি এসএসবি অনুপ জশপাল। সেখানে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়া দেখভাল করছেন তাঁরা।
কাশ্মীরে বাঙালি শ্রমিকদের খুনের ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়েই একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) খবর পান জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামের (Kulgam) কাছে বাংলার ন’জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। তাঁদের কাছে টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। কারও সাহায্যও পাচ্ছেন না তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন মমতা। ডিজি কথা বলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ডিজির সঙ্গে। পুরো বিষয়টা খুলে বলা হয়। তারপরে শুক্রবার সকালের মধ্যে ন’জনকে শ্রীনগরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২২ জন শ্রমিক রাজ্যে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন বলে খবর। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ১৩১ জন শ্রমিককেই রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। তাঁদের সবাইকে বাসে করে জম্মু নিয়ে আসা হচ্ছে। তারপরে রেলমন্ত্রককে জানিয়ে ট্রেনে বিশেষ কামরা বুক করে সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে রাজ্যে। আরও পড়ুন-North Kolkata Bus Service: বন্ধ টালা ব্রিজ, লোকসান ঠেকাতে রুটে নেই বাস; ছুটির পর নারকীয় ভোগান্তিতে উত্তরের যাত্রীরা
জানা গিয়েছে, পুরোটাই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। কুলগামে জঙ্গিদের গুলিতে বাঙালি শ্রমিকদের খুনের ঘটনার পরের দিনই সেখানে ইইউ সাংসদরা উপত্যকা পরিদর্শনে যান। এনিয়ে বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। এদিকে ৩৭০ ধারা (Article 370) লোপের পর থেকেই ভিন রজ্যের লোকজনকে কাশ্মীরের মাটিতে খুন করছে জঙ্গিরা। মূলত কাশ্মীরের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়াই জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য। এদিকে আজ ভোরেই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল কাশ্মীরের মাটিতে বিজেপি নেতার গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। এককথায় আতঙ্কের প্রহর গুনছে গোটা কাশ্মীর।