North Kolkata Bus Service: বন্ধ টালা ব্রিজ, লোকসান ঠেকাতে রুটে নেই বাস; ছুটির পর নারকীয় ভোগান্তিতে উত্তরের যাত্রীরা
কলকাতার বাস প্রতীকী ছবি (Photo Credit: File Photo)

কলকাতা, ১ নভেম্বর: নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে উত্তরের টালা ব্রিজ (Tallah Bridge)। এর উপর দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল করলে যেকোনওদিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিপদ এড়াতে একমাত্র ভরসা ছোট গাড়ি। এতদিন না হয় পুজোর ছুটি ছিল। কিন্তু সোমবার থেকেই তো পুরোদমে স্কুল, কলেজ খুলে যাবে। তখন টালা ব্রিজের উপর থেকে যাতায়াতকারী বাসযাত্রীদের কী হবে তাই ভাবতে গিয়ে চোখের ঘুম উড়েছে। ২৩০, ২০২ ও ৩৪বি। এই তিনটি রুটের বাস একেবারে বসে যাবে। উত্তরের শহরতলি ও উত্তর কলকাতার (North Kolkata) নিত্যযাত্রীদের সবসময়ের সঙ্গী এই তিনটি রুটের বাস। কিন্তু টালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই তিনটি রুটের বাসকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে বেশ ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

এদের মধ্যে সবথেকে দূরাবস্থায় রয়েছে ২৩০ রুটের বাস। অনেকঘুরে যেতে গিয়ে কামারহাটি থেকে আলিপুর চিড়িয়া খানায় (Kamajhati-Alipore Zoo) পৌঁছাতে ৬ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। এর ফলে যাত্রী সংখ্যাও কমছে। অপরিবর্তিত ভাড়ায় তেল বেশি খরচ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের ভারে বাস চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। দিনে দুটোর বেশি ট্রিপ করতে পারছেন না চালকরা। এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতি সামলাতে না পেরে এ বার বাস বন্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ। কবে ফের ২৩০ রুটের বাস চালু হবে তা জানা যায়নি। যাত্রীদের একাংশের কথায়, “একটা বড় রুট দিয়ে যায় ২৩০ বাস। রুট পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই সমস্যায় ভুগছি আমরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় বেশি লাগছে। মাঝের অনেক স্টপেজে এখন যাওয়া যায় না। ব্রেক জার্নি করতে হয়। তার মধ্যে এ বার বাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। প্রতিদিন সমস্যায় জেরবার হতে হবে আমাদের।” পুজোর আগে থেকেই টালা ব্রিজ নিয়ে চলছে দুর্ভোগ। কবে সমস্যা মিটবে জানা নেই। তবে আগামী দিনে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ যে বাড়তে চলেছে তা স্পষ্ট। আরওপড়ুন-West Bengal Assembly Bypolls: আগামী বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় জোট বাম- কংগ্রেস

 

উত্তর শহরতলি থেকে যে সব বাস ছাড়ে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রুট হল কামারহাটি মোড় থেকে বিটি রোড হয়ে টালা ব্রিজ ধরে শিয়ালদহ থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা। ২৩০ নম্বর এই রুটের ১৯ কিলোমিটার রাস্তায় প্রতিদিন ৬২টি বাস চলাচল করত। টালা ব্রিজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে ২৩০ রুটের বাসকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের নিয়মের বাস চালাতে গিয়ে ক্ষতি ছাড়া কিছুই চোখে পড়ছে না তাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ২৩০ রুটের বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল।