কলকাতা, ২২ অক্টোবর: রাজ্য সরকার ফের ছাত্র নির্বাচন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ই (Presidency University) প্রথমে ছাত্রভোটের (students union polls) নির্দেশ দিল। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুরনো আইনের ভিত্তিতেই ছাত্র সংসদের ভোট হবে। ফলাফলও সে-দিনেই প্রকাশিত হবে। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর ছাত্র সংসদ গঠন করা হবে। গত বৃহস্পতিবার সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ছাত্র ইউনিয়ন বা ছাত্র কাউন্সিল তৈরির জন্য যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, এই চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রভোট করতে পারে। যেহেতু কলেজের সঙ্গে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির কোনও যোগ নেই। ভোটের নীতিনির্ধারণে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানান, উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ভোটপর্ব মিটলে পরের ধাপে ভোট হবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে। এর আগে রাজ্যে শেষ বার ছাত্রভোট হয়েছিল ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে। ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন কলেজে অশান্তির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মডেলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়ার কথা ভেবেছিল। পরে বিধানসভায় বিল এনে সরকার সেই কাউন্সিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ছাত্র কাউন্সিল গঠনের বিরোধিতায় নামে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। পরে ঠিক হয় ছাত্র সংসদ থাকবে। আরও পড়ুন-Road Accident: পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু কর্মরত নার্সের, পিষে দিল দ্রুতগতিতে আসা লরি
এদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টসের তরফে জানানো হয়েছে, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং মেয়েদের কমনরুমের সম্পাদক পদে সরাসরি নির্বাচন হয়। সিআর বা ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচনের পরে তাঁদের মধ্যে থেকে আরও সাত জন বিভাগীয় সম্পাদক বেছে নেওয়া হবে। নতুন বিধি নিয়ে যে ভাবা হচ্ছে না, প্রেসিডেন্সির এ দিনের নির্দেশিকাতেই সেটা স্পষ্ট। প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র কাউন্সিলই বলা হয়। তবে নতুন বিধি অনুযায়ী তার মেয়াদ দু’বছর নয়। পুরনো নিয়মে মেয়াদ এক বছর। ক্লাসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না বলেও জানান ডিন। ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে ১ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।