দীর্ঘ বিতর্কের মধ্যেও আগামী ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর (West Bengal SIR)। ভোটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধন ঘিরে ইতিমধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সংঘাত চরমে। এই এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে ২-৩ জন ইতিমধ্যেই আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। যা নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। এরমধ্যেই গত শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় শুরু হচ্ছে এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে বুথ লেভেল অফিসার অর্থাৎ বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। কলকাতা, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। যেখানে উপস্থিত রয়েছে রাজ্য সরকারের কর্মীরা।

কী বলছেন বিএলও-রা?

রবিবার থেকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বিডিও অফিসে শুরু হয়েছে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ শিবির। এই নিয়ে একজন সরকারী কর্মী বলেন, প্রশিক্ষণ যথাযথভাবেই দেওয়া হচ্ছে। যাদের কাছে পর্যাপ্ত নথি রয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে আমরাই কিছুটা আতঙ্কে রয়েছি। কারণ রাজ্যে এসআইআর নিয়ে অনেকেই বিরোধীতা করছে। এরমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা বিপদের সম্মুখীন হতেই পারি। ফলে কেন্দ্রের তরফে নিরাপত্তা সুনিষ্চিত করলে ভালোই হত।

কোন কোন রাজ্যে হবে এসআইআর?

প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এসআইআর হওয়ায় নির্বাচনে যে ভালোই প্রভাব পড়বে, তা ভালোই বুঝতে পারছে শাসক-বিরোধী দলগুলি। যদিও বাংলা ছাড়া মোট ১২টি রাজ্যে এই এসআইআর হওয়ার কথা। সেগুলি হল ছত্তিশগড়, গুজরাত,  মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, আন্দামান ও নিকোবর, গোয়া, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু।