কলকাতা হাইকোর্ট (File Photo/Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৯ জুলাই:  ‘‘কাউন্সিলররা সঙ্গে নেই, তবু চেয়ার আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন! এত নির্লজ্জ আপনি?’’ এদিন বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যকে ঠিক এভাবেই তিরস্কার করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও কড়া কথা শোনাতে চাড়লেন না বিচারপতি। প্রাথমিকভাবে ফের আস্থা ভোটের কথা বললেও এখনও চূড়ান্ত রায় দেননি বিচারপতি। স্বাভাবিক ভাবেই আইনজীবীরা মনে করছে বনগাঁর অনাস্থা ভোট নিয়ে আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়ল।  আরও পড়ুন- Rose Valley Scam: ইডির দপ্তরে সাতঘণ্টা মুখোমুখি ঋতুপর্ণা, সিজিও কমপ্লেক্সে গেলেন প্রসেনজিৎ

চূড়ান্ত রায় না দিলেও অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া যে সুষ্ঠু ভাবে হয়নি, তা বিচারপতির মনোভাবেই স্পষ্ট হয়েছে এদিন। এমনকী, ফের অনাস্থা ভোট হতে পারে বলেও প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ফের অনাস্থা ভোট হওয়া দরকার।’’ পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জেলাশাসক বা মহকুমা শাসকের দপ্তরে আস্থা ভোট নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। বনগাঁ পুরসভায় অনাস্থার ভোটাভুটির কথা ছিল ১৬ জুলাই। কিন্তু সে দিন বিজেপির কাউন্সিলরদের ওই প্রক্রিয়ায় ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় পক্ষই দাবি করে পুরসভার ক্ষমতা তাঁদের দখলে। এনিয়েই বিজেপি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রাজ্য সরকার এবং বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

গোটা অনাস্থার প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ, তা কার্যত কথায় কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। এমনকি, রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা এক্সিকিউটিভ অফিসারের সই করা অনাস্থার নথি দেখিয়েও পার পাননি। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এগ্‌জিকিউটিভ অফিসারের ওই নথি কি গীতা! তাঁকে যে জোর করে বা চাপ দিয়ে সই করানো হয়নি, তার কী প্রমাণ আছে? এমন মন্তব্য করতেও শোনা যায় তাঁকে। পরে যদিও এই মন্তব্য পরিবর্তন করেন বিচারপতি।