Mamata Banerjee On Omar Abdullah's Viral Photo: 'আমি ওমরকে চিনতে পারছি না, খুব দুঃখ পাচ্ছি,' ওমর আবদুল্লার ছবি দেখে প্রতিক্রিয়া মমতা ব্যানার্জির
ওমর আবদুল্লা ও মমতা ব্যানার্জি (Photo: Twitter)

কলকাতা, ২৫ জানুয়ারি: জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) একটি ছবি আজ ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে মুখের জেল্লা হারিয়েছেন তিনি। মুখে কাঁচা পাকা দাঁড়ি। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার এমন ভাইরাল ছবি দেখে দুঃখ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। ওমরের এমন অবস্থার জন্য বিঁধলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। মমতা ব্যানার্জি ছবি পোস্ট টুইটারে লিখেছেন, "ছবিতে ওমরকে চিনতেই পারছি না। খুব দুঃখ পাচ্ছি। গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখের। এর কবে শেষ?"

উপত্যকা প্রশাসনের তরফে শনিবার ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল। তাতে গাঢ় নীল রঙের জ্যাকেট এবং টুপি পরে বরফের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ওমরকে। গুঁড়ো গুঁড়ো বরফে দুই কাঁধ ঢেকে গিয়েছে তাঁর। বরফ পড়েছে মাথাতেও। সেই অবস্থাতেই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। ওমর আবদুল্লা হলেন কাশ্মীরি রাজনীতিকদের একজন যাঁরা গত বছরের অগাস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর আটক বা গৃহবন্দি রয়েছেন। ৫ অগাস্ট ওমর আবদুল্লাকে আটক করা হয়। তার পর ছ’মাস কাটতে চলল। এখনও শ্রীনগরের হরি নিবাসে বন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। উপত্যকার আর অন্য দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমরের বাবা ফারুখ আবদুল্লাও বন্দি রয়েছেন। আরও পড়ুন: Rajasthan: কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কেরালা, পঞ্জাবের পর এবার রাজস্থান বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব

শুধু মমতাই নন, ওমরের ছবিটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন বহু মানুষ। মেহবুবা মুফতি লেখেন, "যারা ওমর আব্দুল্লার এই অবৈধ ও দীর্ঘমেয়াদী আটকে ঔদাসীন্যতা দেখাচ্ছেন, তাদের মনে ভালো লাগবে যে তিনি ৬ মাস ধরে পরিবার ও প্রিয়জনদের থেকে দূরে একাকী বন্দি।" এ বছর মার্চে ৫০-এ পা দেবেন ওমর। কিন্তু ছবিতে তাঁকে অনেক বয়স্ক দেখতে লাগছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে। ছ’মাস নয় ওমরকে দেখে মনে হচ্ছে বন্দিদশায় ৩০ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি, এমন মন্তব্যও করেন কেউ কেউ। এ নিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে কোনও মন্তব্য করা না হলেও, ওমরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দিদশা থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত দাড়ি কাটবেন না বলে পণ করেছেন ওমর।