কলকাতা, ২৬ অক্টোবর: বৃষ্টি এল, উমার আগমণে অঝোর বাড়ি ধারা গোটা বাংলায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল, মহালয়া পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। তবে লেটেস্ট আপডেট বলছে, মহালয়ার পরেও বহাল তবিয়তে রাজ করবে বৃষ্টি, এককথায় নতুন জামাকে বাঁচাতে এই পুজোতে রেনকোট একটা চাইই চাই। ৪৮ ঘণ্টার দামাল বৃষ্টিতে গরমের লেশমাত্র নেই কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। বরং সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকলেও মেঘে ঢেকে ছিল আকাশ। বেলা বাড়তেই স্লেট রঙে ঢেকে যায় গোটা আকাশ। দ্বিপ্রহরে নামল আকাশ ভেঙে বৃষ্টি, কে বলবে শরৎকাল। এ যে ভরা শ্রাবণের পূর্বাভাস দেয়। হাওয়া অফিসের খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণে পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও রয়েছে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। এদিকে পুজো একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। মাঝে শুধু শুক্রবার শনিবার ভোরেই বাঙালি জাগবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে, সেদিন যে মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। কিন্তু আকাশের যা ভাবগতিক, তাতে ঠাকুর দেখায় বেশ বিপাকে পড়তে হবে দর্শনার্থীদের। রবিবার থেকে নাকি এই বৃষ্টির বেগ আরও বাড়বে। এমনিতে টানা বর্ষণে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। তার উপরে পুজো, মণ্ডপ সজ্জা, প্রতিমা আনা সবমিলিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের ঘুম মাথায় উঠেছে। কী করে সবদিক সামলে দুগ্গা দুগ্গা বলে পুজোটা শুরু হবে তাই নিয়েই বড় দুশ্চিন্তা বাসা বেঁধেছে। এদিকে এমনিতেই এবার পুজোর বাজারে বিক্রিবাট্টা নেই চাকরি যায় যায়, ছাঁটাইয়ের রমরমা, তারমধ্যে অনলাইনে সারাবছর কেনাকাটার ঠেলায় পুজোর জন্য আর কিছু বাকি নেই। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান ধর্মতলার দোকানিরা তো মাচি মারছেন। মফস্বলের বাজারগুলিরও বেহাল দশা। এরমধ্যে অসময়ে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে আরও বিপত্তি, যতটুকু বা কেনাকাটা হত তা-ও পুরোপুরি পণ্ড হয়ে গেল। আরও পড়ুন-পুজোর আগেই নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা
ইতিমধ্যেই নিচু এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে, সঙ্গে মশার উপদ্রব, ডেঙ্গি আতঙ্কে জেরবার কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলি। এদিকে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ভাঁটা পড়ায় বেজায় চটেছে জেনারেশন নেক্সট, কী করে যে সবদিক সামাল দিয়ে পুজোর আনন্দ চেটেপুটে নেবে তা ঠিক বুঝেই উঠতে পারছে না, সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে এই বৃষ্টি।