প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

অসুস্থ বউ ও বয়স্ক মাকে দেখাশোনার জন্য এক পরিচারক দম্পতিকে কাজে নিযুক্ত করে অভিজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি। কয়েকমাস ভালোভাবে কাজ করে বিশ্বাস অর্জন করে তাঁরা। সেই সেই সুযোগেই বাড়ি থেকে সোনা, গয়না ও টাকা পয়সা লুট করে পালালো তাঁরা। গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর (Haridevpur) এলাকায়। জানা যাচ্ছে, জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করে চিকিৎসার জন্য রাখা ৪ লক্ষ নগদ টাকা ও কিছু সোনাদানা নিয়ে পালায় ওই ভৃত্য দম্পতি। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বৈদ্য ও সঞ্জু সরকার নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে দুজনে অভিজিৎ দাসের বাড়িতে কাজে ঢুকেছিলেন। বাড়ির কর্তা রাজাবাজারে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সকালে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যান, ফলে বাড়ি দীর্ঘসময় ফাঁকা থাকে। তাই স্ত্রী ও মায়ের খেয়াল রাখার জন্য ওই দম্পতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, প্রথমে তাঁরা ভালোই কাজ করছিল। কিন্তু আচমকাই কয়েকদিন আগে কাজ ছেড়ে দেয়। তবে মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তাঁরা ওই বাড়ি আসেন। পরিচিত হওয়ার সুবাদে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতেও দেওয়া হয়। আর তারপরেই ঘটে অঘটন।

অভিযোগ, তাঁরা ঢুকে কিছু কথাবার্তা করার মধ্যেই আচমকা দুজনকে চামচে করে একটা তরল খাইয়ে দেয়। তারপরেই দুই মহিলা অচৈতন্য হলে গেলে শুরু হয় লুটপাট। কিছুক্ষণ পরে সবকিছু নিয়ে তাঁরা চম্পট দেয়। এরপর তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসা এক প্রতিবেশী সদর দরজা খোলা দেখে ঢুকে পড়েন। তারপর তিনি দেখেন ঘরের এই অবস্থা। খবর দেওয়া হয় অভিজিৎকে। সে চিকিৎসক নিয়ে আসার পর সংজ্ঞা ফিরতেই সবকিছু জানতে পারেন। এরপর পুলিশে অভিযোগ জানানো হলে ফটো ও মোবাইল লোকেশন দেখে তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপরেই বুধবার তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।