আরজি করে (RG Kar Hospital Incident) জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ অবাহত। ঘটনার এক মাস হতে চলল সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি কতদূর তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে রাজ্যে নতুন ধর্ষণবিরোধী বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত মঙ্গলবারই বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণ-বিরোধী বিল ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ (Aparajita Bill 2024)। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর নিয়ম মেনে এই বিল গিয়েছে রাজভবনে। এবার সেই বিল বিবেচনার জন্যে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) কাছে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজভবনে পাঠানো অপরাজিতা বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট না থাকায় সেই বিলে অনুমোদন কিংবা সম্মতি দিতে পারছিলেন না রাজ্যপাল। এদিকে রাজ্যপাল বিলে সম্মতি না দিলে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসার হুমকি দিয়েছিলেন। শুক্রবার অপরাজিতা বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট পৌঁছয় রাজভবনে। সেদিনই সেই বিল বিবেচনার জন্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেও রাজ্য সরকারের এই নয়া অপরাজিতা বিল ঘিরে একাধিক ত্রুটি তুলে ধরেন রাজ্যপাল।
রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, তাড়াহুড়ো করে রাজ্য সরকার এই বিল পাশ করাতে চাইছে। এতে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে যা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। ত্রুটি সংশোধন না করে এই তৎপরতা দেখাতে থাকলে রাজ্যকে পরবর্তীকালে অনুতপ্ত হতে হবে। রাজ্যপাল এও জানান, এই বিল কার্যকর হওয়া পর্যন্ত মানুষ অপেক্ষা করতে পারে না। তাঁরা ন্যায় বিচার চায়। যা বিদ্যমান আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই পাওয়া উচিৎ। সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিলে জনগণ ঠিক ন্যায় বিচার পাবে। সন্তান হারানো শোকাহত বাবা-মায়ের চোখের জল মোছানোর দায়িত্ব সরকারেরই।
‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল) ২০২৪- এ ধর্ষণের জন্যে দোষী ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ডের নিদান রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অপরাধীদের জন্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত সাজার কথা উল্লেখ রয়েছে।