কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর: এখন অনেকটাই ভাল আছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadabe Bhattacharya)। রবিবার নিজের মুখে খেয়েছেন তরল খিচুড়ি, সামান্য পাকা পেঁপে এবং আঙুর ফল। মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন থেকে বুদ্ধবাবুকে সরিয়ে বাইপ্যাপে রাখা হয়েছে। আজ হয়তো বাইপ্যাপেই থাকবেন তিনি। তবে দিন দুয়েক ধরে বাড়ি ফেরার জন্য জেদ করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকরা বুঝিয়েছেন। রাজনৈতিক সহকর্মী ততা বাম নেতা ডাক্তার সূর্যকান্ত মিশ্রও তাঁকে আর কয়েকটা দিন হাসপাতালে থাকতে বলায় কিছুটা শান্ত হয়েছেন বুদ্ধবাবু। রবিবার চিকিৎসকদের কাছে দলীয় মুখপত্র গণশক্তি-সহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র পড়ার আবদার করেন। খবরের কাগজ এলেও শিরোনামের বেশি কিছু পড়তেই পারেননি। সর্বক্ষণের সঙ্গী তপনবাবু কাজ পড়ে শুনিয়েছেন। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: সোমবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ লাখ ছুঁই ছুঁই, কর্ণাটকে সংক্রামিত ছাড়ালো ৯ লাখ
ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে বই লিখছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে চোখের সমস্যার জন্য লেখা আপাতত মুলতুবি রয়েছে। বিষয়টি তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানালে তাঁরা শ্রুতি লিখকের পরামর্শ দেন। তবে বুদ্ধবাবু তাতে সম্মত হননি। বলেন, বই লেখার জন্য প্রচুর পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে, চোখের সমস্যার জন্য সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসক সৌগত হালদার বুদ্ধবাবুর চোখ পরীক্ষা করেন, রবিবার তাঁর চোখে ড্রপও দেওয়া হয়। উডল্যান্ডসের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসক সৌতিক পান্ডা বলেন, ‘‘উনি যে নিজে মুখে নরম খাবার খেয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। ওঁকে মুখে খাওয়াতে গেলে উনি কী খাবার পছন্দ করছেন, জানা জরুরি। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
গত বুধবার তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম নেতা বুদ্যদেব ভট্টাচার্য। সেসময় তাঁর শরীরে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন ছিল ৬৮। অ্যাকিউট সিওপিডি রোগীর জন্য যা ভয়াবহ অবশ্যই। তবে এখন শরীরের সবরকম প্যারামিটার স্বাভাবিক রয়েছে। ৭৬ বছরের বুদ্ধবাবুর অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন ৯৮। যা সন্তোষজনক। মেয়ে সুচেতনার সঙ্গে রবিবার কথাও বলেছেন তিনি। শরীর ঠিকঠাক থাকলে এখন তাঁর বাড়ি ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।