আরজি করে (RG Kar Medical College and Hospital) ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত জারি রেখেছে সিবিআই। শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান সন্দীপ ঘোষকে। এই ঘটনা নিয়ে এদিন বিকেলে বেশ কয়েকটি দাবি রাখেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। যার মধ্যে অন্যতম দোষীদের শাস্তি, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইস্তফা, হাসপাতালে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবি। যদিও এই প্রসঙ্গে অবশ্য মৃতার পরিবারের বক্তব্য, সিবিআই গোটা বিষয়টি তদন্ত করছে, ফলে বিচারবিভাগীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। এমনকী তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে এখনই কোনও কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা।
শুক্রবার মৃতার বাবা বলেন, ঘটনার দিন সকাল ৮টা ১০-এ তাঁর মেয়ে ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাত ১১টা ১৫ নাগাদ ওপিডি করে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সকালে যখন বাড়ি থেকে ফোন করা হয় তখন আর কেউ ফোন ধরে না। এরপর সকাল ১০টার পরে ফোন আসে যে তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছেন। নিহত চিকিৎসকের বাবার প্রশ্ন, রাত ৩টে থেকে ১০টা পর্যন্ত কোনও অন ডিউটি ডাক্তারের নজর আসেনি বিষয়টা? তাহলে কি কেউ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল? কলেজে ওঁকে মানসিক চাপ দেওয়া হত। গোটা ডিপার্টমেন্ট নিয়েই আমার সন্দেহ রয়েছে। সকলে মিলে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে তাঁর মনে হয়।
#WATCH | North 24 Parganas, West Bengal: Father of deceased doctor in the RG Kar Medical College and Hospital rape-death case says, "My daughter left for duty at around 8:10 am on that day. She was on OPD and last spoke to her mother at around 11:15 PM. In the morning when my… pic.twitter.com/nWbFCzuoKr
— ANI (@ANI) August 16, 2024
অন্যদিকে দেশজুড়ে আন্দোলন নিয়ে চিকিৎসকের বাবা বলেন, দেশজুড়ে যে প্রতিবাদ হচ্ছে। বিশেষ করে কলকাতায় যাঁরা আন্দোলন করছে তাঁদের জন্য বুকে সাহস পেয়েছে পরিবার। তাঁদের জন্যই ঘটনার গভীরে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। আন্দোলনকারীদের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে আরজি করে যে ভাঙচুর চলেছে সেই বিষয়ে তিনি কিছু মন্তব্য করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।