RG Kar Protest, Calcutta HC (Photo Credits: X)

১৪ অগাস্ট, বুধবার স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগের রাত, নতুন স্বাধীনতা পাওয়ার এক ইতিহাস গড়ল এই রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আট থেকে আশি বয়স নির্বিশেষ কাতারে কাতারে মানুষ পথে নেমেছিল আরজি কর হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণ হওয়া তরুণী চিকিৎসকের (Kolkata Doctor's Rape and Murder) জন্যে বিচার চাইতে। সেই দৃশ্যকে জনসমুদ্র বললেও হয়তো অনেক কম বলা হবে। 'রাত দখলের' সেই রাতে আরজি কর চত্বরে আন্দোলনদের মাঝে হঠাৎই হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে। আজ শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানির শুরু থেকেই রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।

জমায়েত হওয়ার কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত তাহলে কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারল না রাজ্য পুলিশ। আরজি করে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় পুলিশ এবং পুলিশ গোয়েন্দাদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। আদালতের প্রশ্ন, একদল দুষ্কৃতীকে ঠেকাতে পারছেন না যারা, তারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে কীভাবে? সেমিনার হলের পাশে সংস্কারের কাজ এবং মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচির সময়ে আরজি করের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর- এই দুই ঘটনা ঘিরেই আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার আদালত সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতেই কেন ঘটনাস্থল অর্থাৎ সেমিনার হলের কাছে সংস্কারের কাজ শুরু হল। কার বা কাদের নির্দেশে ভাঙচুর করা হচ্ছিল সেখানে? এত তাড়াহুড়োই বা কীসের ছিল? ঘটনাস্থল সুরক্ষিত রয়েছে কিনা তা হলফনামা দিয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত।

পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে।

বুধবার 'মেয়েদের রাত দখল' কর্মসূচির মাঝে আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপর আচমকাই হামলা হয়। চালাতে থাকে ইট বৃষ্টি। হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্যে ব্যবহৃত দামী দামী মেশিন থেকে শুরু করে ওষুধ, ইঞ্জেকশন সমস্ত কিছু নষ্ট করা হয় বলে অভিযোগ। এক কথায় হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতীর দল। হাসপাতালের বাইরে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মঞ্চেও চলেছে ভাঙচুর। লালবাজারের উপস্থিতিতেই প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অথচ কিছুই করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ।