অনেক আশা করে কেষ্ট গড় ভাঙতে হেভিওয়েট বিতর্কিত আমলা দেবাশিস ধর (Debasish Dhar )-কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তিনবারের টলিউড অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) বিরুদ্ধে দেবাশিস খেলা ঘুরিয়ে দেবেন এমন আশা পদ্ম সমর্থকরা করেছিলেন। কিন্তু সে সব আশায় জল পড়ে গেল। তাঁর মনোনয়ন ত্রুটিযুক্ত বলে জানায় ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দেবাশিস। প্রসঙ্গত, ক দিন আগেই গুজরাটের সিউড়ি কেন্দ্রে কংগ্রেসের দু জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান বিজেপির মুকেশ দালাল।
কমিশনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে 'নো ডিউজ়' সার্টিফিকেট না দেওয়ায় বাতিল হল প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিসের মনোনয়ন। তাঁর প্রার্থিপদ বাতিল হওয়া নিয়ে দেবাশিস জানিয়েছেন, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বীরভূমের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলে, রাজ্য সরকার এখনও ছাড়পত্র দেয়নি দেবাশিসকে।
দেবাশিসের প্রার্থীপদ বাতিল হওয়ায় আগে থেকে ব্যাকআপ হিসেবে তৈরি থাকা দেবতনু ভট্টাচার্য-কে প্রার্থী করল বিজেপি। শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে কে এই পদ্মপ্রার্থী দেবতনু?আরএসএসের প্রচারক সিউড়িতে কাজ করা দেবতনু বীরভূমটা হাতের তালুর মত চেনেন বলে পদ্ম শবিরের দাবি।। দেবতনু এখন বাংলায় বিজেপির চারটি লোকসভা কেন্দ্রের 'ক্লাস্টার ইনচার্জ' হিসাবে দায়িত্বে আছেন। বীরভূম, বোলপুর, কাটোয়া এবং বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তিনি দলের পক্ষে পর্যবেক্ষক আছেন।
অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকায় বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন বেশ নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। এমনটা মনে করে বীরভূমে জিততে সর্বশক্তি উজাড় করছে পদ্ম শিবির। দেশে ৩৭৫টি-র বেশী আসন পেতে হলে বীরভূমের মত কেন্দ্র জিততেই হবে বলে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা মনে করেন বলে জানা গিয়েছে। গতবার শতাব্দি মোদী সুনামির মাঝেও এখান থেকে ৮৯ হাজারের মত ভোটে জিতেছিলেন। গতবার বিজেপি-র হয়ে দাঁড়িয়ে দাপুটে নেতা দুধ কুমার মণ্ডল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। একমাত্র দুবরাজপুর বাদ দিলেন এই লোকসভার আর কোনও বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক নেই।