
কলকাতা, ১৮ জুলাই: স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের (Ultadanga Flyover)ফাটল সারানো সম্ভব নয়। তাই আসন্ন দুর্গাপুজোর (Durgapuja 2019) ভিড় সামাল দিতে উল্টোডাঙাতেও তৈরি হচ্ছে বেইলি ব্রিজ। একেবারে মাঝেরহাটের অনুকরণ বলতে পারেন। গতবছর ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বৃষ্টিতে ভাসছিল শহর কলকাতা। মেঘলা বিকেলে মন খারাপ করা খবর আসে বেহালা থেকে। ভেঙে পড়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ। সেতু দর্ঘটনায় মৃত্যু কান্না পরিজনদের হাহাকার। শহরবাসী দুর্ভোগ, রাজনীতিবিদদের সমালোচনার মাঝেই শীতকাল নাগাদ সেখানে বিকল্প বেইলি ব্রিজ তৈরি করে যানজটের কিছুটা সুরাহার বন্দোবস্ত করে রাজ্য সরকার। সেই পথেই হাঁটছে এবার উল্টোডাঙা। আরও পড়ুন- কাটমানি ইস্যুতে নবান্নের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ বিজেপির, শহরে চাঞ্চল্য
সপ্তাহ খানেক আগেই উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ফাটল দেখা দেয়। দুর্ঘটনা এড়াতে তড়িঘড়ি দুটো লেনই বন্ধ করে দেয় পূর্ত দপ্তর। আসলে মানুষের জীবন নিয়ে সরকার কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি। তারপর পূর্তদপ্তর ও কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ররা সরেজমিনে ব্রিজ খতিয়ে দেখার পর মেরামতির কাজও শুরু হয়। সেসব মিটলে ব্রিজের বিমানবন্দরগামী লেনটি ফের খতিয়ে দেখেন ইঞ্জিনিয়ররা। তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়, চালু হয়ে যায় ওই লেন। কিন্তু বাইপাসগামী লেনটি বন্ধই পড়ে রয়েছে, কেননা সেখানে ফাটলের পরিমাণ দীর্ঘ, তাই দীর্ঘ মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট লেনের মেরামতির কাজ শেষ হতে মাস দুয়েক সময় লেগে যাবে। এদিকে দুর্গাপুজোর আর বিশেষ বাকি নেই। পুজোর আগে সেতু সংস্কারের কাজ শেষ হবে না। এদিকে পুজোর সময় কলকাতায় ঠাকুর দেখতে উপচে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। সেই ভিড়ের চাপকে সামাল দিতেই ভিআইপি রোড থেকে কেষ্টপুর খালের উপরে তৈরি করা হবে বৈইলি ব্রিজ। তাহলে উল্টোডাঙা মুখী ভিড়টা ভাগ হয়ে বেইলি ব্রিজ পেরিয়ে সল্টলেকে ঢুকে যেতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ বৈঠক সেরে ফেলেছে সল্টলেকের নগরোন্নয়ন দপ্তর। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্র গুপ্ত-সহ অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরা। দ্রুত বেইলি ব্রিজ তৈরিতে সক্ষম ও খ্যাতি সম্পন্ন সংস্থা গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স-কেও সেখনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চটজলদি বেইলি ব্রিজ তৈরিতে এই সংস্থার বেশ সুনাম রয়েছে বাজারে। বোঝাই যাচ্ছে সল্টলেক নগরোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে খুব শিগির কাজ শুরু হয়ে যাবে।