
কলকাতা, ২২ মার্চ: দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩১৫-য়, মৃতের সংখ্যা ৪। রবিবার ১৪ ঘণ্টার 'জনতা কার্ফু' ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এখনও বিশ্বাস রাখছেন গোমূত্রেগোমূত্রই। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় গোমূত্র পার্টির (Gaumutra Party) আয়োজন করেছিল হিন্দু মহাসভা। কলকাতায় মানুষজনকে ধরে গোমূত্র খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশকে জোর করে গোমূত্র খাওয়ানোর অভিযোগ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তখনই দলের নেতার পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন ,এই প্রথম কেউ গোমূত্র খাচ্ছে নাকি? শনিবার আরও একবার গোমূত্র পানের সওয়াল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দাবি করলেন, বিদেশেও রফতানি হচ্ছে গোমূত্র।
দিলীপ ঘোষ বলেন,''বিশ্বাস করে মরা ভালো, অবিশ্বাস করে বাঁচার চেয়ে। প্রতিষেধক বলে মনে হলে অবশ্যই খাওয়া উচিত। কে বলল গোমূত্র খেয়ে অসুস্থ হয়েছে? বিদেশে রফতানি হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। আমিও তো বলছি বাঁচতে চাইলে কেউ খেতে পারেন।'' রবিবার বিকাল ৫টায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি বা থালা বাজিয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপনের করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন, করোনা আতঙ্ক ও জনতা কার্ফুতে গৃহবন্দী রাজ্যবাসী, শুনশান শহর কলকাতা
দিলীপ ঘোষ এরসঙ্গে যোগ করে বলেন, বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে শঙ্খধ্বনি দেবেন। তাঁর ব্যাখ্যা, ''শঙ্খধ্বনি জীবাণু মুক্ত করে। ভূমিকম্প হলে শাঁখ বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। বিপদে সতর্ক করতে বাজানো হয় শাঁখ। আবার বাড়িতে অতিথি এলেও আমরা শাঁখ বাজাই। প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে বাড়িতে শঙ্খধ্বনি, ঘণ্টাধ্বনি, উলুধ্বনি দিন।''
তিনি আরও বলেন,''আমরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দীর্ঘদিন বিশ্বাস করে এসেছি। টোটকা, জরিবুটি খেয়ে যাঁরা বিশ্বাস করেছে, তাঁরা সুস্থ আছে। আমরা ঋতু পরিবর্তন অনুযায়ী খাবার বদলাই। এখন গরম পড়ছে বলে, নিমপাতা, নিমফুল ভেজে খাব। অতি আধুনিক হতে গিয়ে ছেলে মেয়েদের সর্বনাশ করবেন না। পাস্তা খেলে পস্তাতে হবে। নিম পাতার রস খান। পিৎজা, বার্গার,পাস্তা যাঁরা খান, তাঁরাই আক্রান্ত হচ্ছেন'' বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।