লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সঙ্গে আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের জেলার আসন কোচবিহারে। এই আসনে প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। এবার কোচবিহারে লড়াই জমজমাট। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোচবিহারে এবার কী হতে চলেছে।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীরা
বিজেপি- নিশীথ প্রামাণিক
তৃণমূল- জগদীশ বর্মা বসুনিয়া
ফরওয়ার্ড ব্লক- নীতীশ চন্দ্র রায়
কংগ্রেস- পিয়া রায় চৌধুরী
বিএসপি- পূর্ণা মোহন রায়
এসইউসি (আই)- দিলীপ চন্দ্র বর্মন
কেপিপি (ইউ)- প্রদীপ কুমার রায়
২০১৯ লোকসভার ফল
বিজেপি-র নিশীথ প্রামাণিক প্রায় ৫৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী-কে। ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্কের বড় অংশ বিজেপি-র দিকে গিয়েছিল। চার বছরের মধ্যে এই কেন্দ্রে বিজেপির ভোট বেড়েছিল প্রায় ৫ লক্ষ।
২০১৬ লোকসভা উপনির্বাচনের ফল
তৃণমূলের পার্থ প্রতিম রায় নিকটতম প্রতিপক্ষ বিজেপির হেমচন্দ্র বর্মন-কে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ভোটে হারান ।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের ফল
তৃণমূলের রেনুকা সিনহা প্রায় ৮৭ হাজার ভোটে হারান নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দীপক রায়-কে। বিজেপি সেবার তৃতীয় হয়েছিল, ২ লক্ষ ১৭ হাজার ভোট পেয়ে।
কোচবিহারে বাঘের গর্জন
কোচবিহার দীর্ঘদিন ধরে ফরওয়ার্ড ব্লকের ঘাঁটি ছিল। নৃপেন্দ্র রায়, হীতেন বর্মন, অমর রায় প্রধানের মত ফ.ব নেতারা এখান থেকে জিতে এসেছেন।
এবার কে এগিয়ে
অঙ্কের বিচারে বিজেপি এগিয়ে। কোচবিহার লোকসভার অধীনে যে সাতটি বিধানসভা আছে, তার মধ্যে পাঁচটিতেই বিজেপির বিধায়ক। দার্জিলিং ছাড়া এতটা অঙ্কের সুবিধা বাংলার আর কোনও আসনে নেই বিজেপি-র। অমিত শাহ-র ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক যেহেতু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্থবল, সাংগঠনিক দিক থেকেও বিজেপি টেক্কা দিচ্ছে তৃণমূলকে। তবে প্রচারে কিন্তু নিশীথকে বেশ টক্কর দিচ্ছেন সিতাইয়ের বিধায়ক থেকে এবার কোচবিহার লোকসভায় প্রার্থী হওয়া জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। দুটি দলেই গোষ্ঠীকোন্দল আছে। তবে নীতীশ যেহেতু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তাই দলীয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভটা অনেকটাই নিচুতলায়। কিন্তু ২০২১ বিধানসভার ফল দেখলে পরিষ্কার, লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। ফরওয়ার্ড ব্লকের ভোট বিজেপি-তে যাওয়া বন্ধ হলে চাপ বাড়বে নিশীথের ওপর।
বিজেপিকে জিততে হলে
মাথাভাঙা, শীতলকুচি, নাটাবাড়ি আর কোচবিহারের দুই বিধানসভায় ২০২১ বিধানসভার ফল ধরে রাখতে পারলে জয় আসবে।
তৃণমূলকে জিততে হলে
সিতাই, দিনহাটায় বড় লিড চাই। সঙ্গে শীতলকুচি আর নাটাবাড়ি পুন:রুদ্ধার করতে হবে। উদয়ন গুহ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের ব্যাপক সাহায্য চাই জগদীশের। আর অবশ্যই মাথাভাঙা, আর দুই কোচবিহারে বিজেপির লিড কিছুতেই বাড়তেই দেওয়া যাবে না। অঙ্কের বিচারে যেটা বেশ কঠিন হবে।