কলকাতা, ৩১ মার্চ: করোনা মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য, সেটা খতিয়ে দেখতে কখনও ময়দানে নেমে কিংবা কখনও ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত পরখ করে দেখে নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার পৌঁছে গেলেন লালবাজারে (Lalbazar)। সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট ছিলেন তিনি। পুলিশকর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করছেন কিনা, সেটি পরখ করে দেখে আসলেন তিনি। লালবাজার পৌঁছানোর পর গাড়ি থেকে নামতেই নামতেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং নিয়ে সতর্ক করলেন মমতা। বললেন, "আমি কিন্তু দেখেছে আপনারা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং (Social Distancing) পালন করছেন না। দূরে দূরে থাকুন।"
Honble Chief Minister visited the @KolkataPolice HQs at #Lalbazar today evening and praised & motivated the police personnel of all ranks for the good work being undertaken by them in the #fightagainstcorona #WeCareWeDare @MamataOfficial pic.twitter.com/wc4CSSN79W
— CP Kolkata Anuj (@CPKolkata) March 31, 2020
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্য়ানার্জি পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, রাজ্যে করোনা-মোকাবিলার এই যুদ্ধে আজ আপনারাও প্রত্যেকে সামিল হয়েছেন। আপনাদেরকে সুস্থ থাকতেই হবে। এভাবেই পুলিশ কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা এবং জানালেন ধন্যবাদও। তবে লকডাউনে যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহে কোনও গাফিলতি না হয়, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, এদিন সকালে খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখন। হাজরা মোড়, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস-শহরের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় কাজ করছেন যেসমস্ত পুলিশ কর্মীরা। তাদের থেকেও এলাকার খোঁজ খবর নেন তিনি। আরও পড়ুন: Centre Responds: কোনো অভিবাসী শ্রমিককে সকাল ১১ টা পর্যন্ত রাস্তায় ফেলে রাখা হয়নি, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে জবাব জানাল কেন্দ্রের
পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় অর্থ সাহায্য করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। জাতীয় এবং রাজ্যের তহবিলে ৫ লাখ টাকা করে দেবেন বলে ঘোষণা করে একটি টুইট করেন। টুইটে তিনি লেখেন-"আমার সীমিত পুঁজির মধ্যে, আমি ৫ লক্ষ টাকা তহবিলে দান করছি। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা এবং আরও ৫ লাখ টাকা রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দান করব। COVID-19-এর লড়াইয়ে আমাদের দেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার প্রয়াসেই এই উদ্যোগ।" তিনি আরও বলেন,"আমি বিধায়ক বা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও বেতন নিই না এবং আমি সংসদের সদস্য পেনশনের বিষয়েও ৭ বার সংসদে এসেছি। আমার আয়ের প্রাথমিক উত্স হ'ল আমার সৃজনশীল কাজগুলি, আমার সংগীত ও আমার লেখা বইগুলি থেকে আমি যা আয় করি তাই।"