কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি: “আমার দেহে প্রাণ থাকতে আমি কোনও ধমকানি, চমকানি, কোম্পানিকে ভয় পাই না। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে এসেছি, এখন ইঁদুরকে ভয় পাব? আজ একুশ, এই একুশেই চ্যালেঞ্জ করছি, খেলা হবে, আমি গোলকিপার। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। কারা হারে আর কারা জেতে, আমি দেখতে চাই।” রবিবার দেশপ্রিয় পার্কে একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা দিবসের মঞ্চ থেকে ফের বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা (Mamata Banerjee) তাঁর মুখেও শোনা গেল “খেলা হবে”। মূলত ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই পাঠানো নিয়েও কেন্দ্রকে ঠারে ঠোরে আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শেষ লগ্নে এসে বলেন, “২১ শে চ্যালেঞ্জ হবে। ২১ শেই আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি এবং ২১ শেই চ্যালেঞ্জ হোক।” আরও পড়ুন-Amit Mitra: কমবে জ্বালানির দাম! পেট্রল ও ডিজেলের ওপর থেকে এক টাকা কর কমাল রাজ্য সরকার, ঘোষণা অমিত শাহের
এই মঞ্চ থেকে ফের মনে করিয়ে দেন, “এবার থেকে ফোন রিসিভ করে হ্যালো নয় বলুন জয় বাংলা। তিনি একুশের খেলায় গোলরক্ষক হচ্ছেন। তাই ভয় পাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। এই মাটিই আমায় শিখিয়েছে, কাউকে দেখে ভয় না পেতে। বাঘের মতো লড়াই করতে। আমরা তো বন্দুকের সঙ্গে লড়াই করে এসছি। ভয় পাবো কেন? আমাদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়। যারা বাংলায় এসে সুড়সুড়ি দেয়, ব্যঙ্গ করে তারা ‘বাংলা’র নামটা করল না। চার বছর ধরে ফেলে রেখেছে। চিরকাল দেখছি, বাংলার প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে, কেউ বাংলায় বড় হয়ে গেলে দেখছি, টেনে নামানোর একটা চক্রান্ত হচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, পশ্চিম বাংলা শব্দটার মধ্যে একটা ইতিহাস জড়িয়ে আছে। পশ্চিমবাংলার যারা ইতিহাস জানেন বলে দাবি করেন, তারা পশ্চিম বাংলা ও বাংলার মধ্যে তফাৎ এবং তাৎপর্য বোঝেন। দিদি বোধহয় সেটা বুঝেও বুঝছেন না। উনি বলছেন যে পাকিস্তানে পঞ্জাব আছে, ভারতেও পঞ্জাব আছে। তার মানে এটা নয়, ওটা আছে বলে, আরএকটা ওরকম করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের নামকরণের ক্ষেত্রে সবথেকে যেটা লজিক্যালি কারেক্ট হবে, কেন্দ্রীয় সরকার সেটাকেই করবে।