জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক সম্মেলন (ছবিঃFacebook@WBJDF)

কলকাতা, ২১ অক্টোবর:  নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরণ অনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীরা জানালেন, নির্যাতিতার মা-বাবার অনুরোধ ও জনতার দাবি শুনে আমরণ অনশন ও মঙ্গলবার সর্বাত্মক স্বাস্থ্য ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হল। প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটা বেশী সময় চলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে ২ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক একটা সময় বেশ নরমে, পরে গরমে চলল। নবান্নের বৈঠকে একটা সময় বাদানুবাদও চলল দু'পক্ষের মধ্যে। বৈঠকের শেষ জুনিয়র ডাক্তাররার কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার। ১০ দফা দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বললেন, সব দাবি একসঙ্গে মানা সম্ভব নয়। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে তিনি কিছু বিষয়ে একমত বলেও মমতা জানান।

সমাধানসূত্র বের হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু দু পক্ষের মধ্যে সরসারি কথা হওয়ায় রাজ্যের মানুষের কাছে আরজি করে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন, বক্তব্য ও তা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান পরিষ্কার হল। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের মোট ১৭জনের প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে যান। মমতা অনুরোধের সুরে বলেন, অনশন ছেড়ে কাজে ফিরতে। জুনিয়র ডাক্তাররা সরাসরি রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে দুর্নীতি, স্বাস্থ্য সচিবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন বৈঠকে। মমতা বলেন, "তোমাদের প্রতি আমার ভালবাসা থাকবে। আমার কাছে রঙ নেই। আমি সব জানলেও বলব, তোমাদের অন্য পরিচয় আমার কাছে নেই।" বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ৫৬৩ জন ডাক্তার কর্মবিরতি পালন করলেও, তাঁরা বেসরকারী হাসপাতালে গিয়ে চুটিয়ে প্র্যাকটিশ করেছেন এবং স্বাস্থ্যসাথীর টাকা নিয়েছেন। কিঞ্জল, দেবাশীষদের দিকে তাকিয়ে এই নিয়ে মমতা বলেন, " ৫৬৩ জন ডাক্তার যারা স্ট্রাইক করছেন যারা বেসরকারী হসাপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর টাকা নিয়েছেন। তোমরা চাইলে তোমাদের তালিকা পাঠিয়ে দেবো।"আরও পড়ুন-কলকাতা ও লাগোয়া শহরতলিতে কমল ডেঙ্গুর ঘটনা, জানাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর

স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ নিয়ে অনড় থাকেন আন্দোলনাকারী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, " তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছেমত কাজ করবেন না। আমি ক্ষমতায় আছি বলেই থ্রেট করতে পারি না।" স্বাস্থ্যসচিন নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ সংক্রান্ত কোনও কথা তিনি বৈঠকে শুনবেন না বলে মমতা বলেন, " অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত বলা যায় না।"