নৈহাটি, ৩ জানুয়ারি: নৈহাটির (Naihati) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নয়া মোড়। ঘটনার পর থেকেই উধাও কারখানার মালিক নুর হোসেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ঝলসে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরের বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে পড়ে। অনেক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে লম্বালম্বি দুভাগ হয়ে চিড়েছে সুপুরি গাছ। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দাদের দাবি। এর আগেও এবার ওই বাড়ির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়। তারপর বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল কারখানাটি ফের কীভাবে শুরু হল তা তাঁরা জানেন না। তবে এই আতঙ্ক নিয়ে বাস করা অসম্ভভ। তাই কারাখানাটি বন্ধের আর্জি জানাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে শত অভিযোগ থাকলেও এলাকার বহু মানুষের অন্ন সংস্থানও হতো ওই কারখানা থেকেই। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলা ও শিশুরা কাজ করত ওই কারখানায়। বিস্ফোরণের ঘটনা যে মামুলি নয় তা স্থানীয়দের কথাতেই স্পষ্ট। শুধু নৈহাটি নয়, বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গঙ্গার ওপারের হুগলিও। চুঁচুড়ার আখনবাজার, প্রেমনগর এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন তাঁরাও কম্পন টের পেয়েছেন। এরপরই আসরে নামেন এলাকার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জির রাজ্যে যে আইন বলে কিছু নেই এই ঘটনা তারই প্রমাণ। পুলিশকেও টাকা দিয়ে পোস্টিং নিতে হয়। আর পুলিশও টাকা খেয়ে এসব বেআইনি কারখানা চালাতে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এখানে বাজি ছাড়াও অন্য কোনও বিস্ফোরক মজুত করা ছিল কি না!” আরও পড়ুন-Naihati: দিনদুপুরে বাজ পড়ে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, কাঁপল নৈহাটি
অর্জুন সিং (Arjun Singh)আরও বলেন, “ এই বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তথা কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত করা উচিত। এখানকার পুলিশের উপর কোনও বিশ্বাস নেই মানুষের। খাগড়াগড়ের বেলাতেও পুলিশ বলেছিল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। এনআইএ তদন্ত করার পর আসল ব্যাপারটা সামনে আসে। এখানেও তেমন হচ্ছে না কে বলতে পারে।”