কেন্দ্রে তৃতীয়বার অন্যের ভরসায় সরকার গড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, রবিবার সন্ধে ৭টা ১৫ নাগাদ শপথ গ্রহণ করবেন মোদী। আর এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট উচ্ছসিত বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই আজকের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলে দাবি করছেন তাঁরা। যদিও আত্মনির্ভর ভারত গড়তে চলা বিজেপি নেতারা এখন নিজেরাই জেডিইউ, টিডিপির মতো আঞ্চলিক দলের ওপর নির্ভরশীল। এদিন বঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও শোনা গেল একই কথা। তাঁর মতে, বিজেপি এখনও শক্তিশালী দল রয়েছে।

তবে এদিন তৃণমূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তৃণমূল একটি আঞ্চলিক দল, কেন্দ্রে ওদের কোনও গুরুত্ব নেই। আমাদের ২১-এর জায়গায় সিট সংখ্যা ১২-তে এসে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের ভোট শতাংশ অনেকটাই বেড়েছে"। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একক পার্টি হিসেবে বিজেপি ২৪০টি আসন পেলেও দুর্বল হয়েছে এনডিএ জোট। এই জোটের ভরসাতেই ৪০০ পার করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মোদী-শাহদের। আর শরিক দলগুলির এই অবস্থা হওয়ার পরেও সরকার বানাতে বিজেপির ভরসা জেডিইউ, টিডিপির মতো আঞ্চলিক দলগুলির

আর সেই কারণেই চন্দ্রবাবু, নিতিশ কুমারদের সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে অবশেষে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল কংংগ্রেসের মতো আঞ্চলিক দলের কাছে প্রতিবার হেরেও ঔদ্ধত্য কমছে না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। এবারে ২১টি তো দূর অস্থ, গত লোকসভায় জেতা ১৮টি আসনও ধরে রাখতে পারলে না শুভেন্দু-শুকান্তরা। দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, এস এস আলুওয়ালিয়ার মতো নেতাদের হারতে হল এবারের নির্বাচনে।