কলকাতা, ৬ জানুয়ারি: দিনকয়েক ধরেই গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল কলকাতা (Kolkata) শহরের এক অভিজাত পানশালায় (Pub) নিজের প্রেমিকাকে শ্লীলতাহানি করেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। কখনও বা এরসঙ্গে জুড়েছে মারধর ও চুরির অভিযোগও। কিন্তু সোমবার সমস্ত বিতর্ক উড়িয়ে ওই ঘটনায় পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো বার্তা দিলেন নেতা। লেটেস্টলি বাংলাকে জানালেন চলতি এই বিতর্কের বিষয়বস্তু পুরোটাই মিথ্যা। দিন কয়েক ধরে সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে যা সামনে আসছে তা নাকি ভুয়ো! এমন ঘটনা নাকি ঘটেইনি আদতে!
কি ঘটেছিল তবে? শনিবার ৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হো চি মিন সরণির এক হোটেলের পাবে ঘটনাটি ঘটে। পাবে অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) সঙ্গে সুরেশ রায় বলে এক ব্যক্তির বচসা বাঁধে অনুপমের সঙ্গে। তার জেরে বিজেপি নেতা অভিযোগকারীর বান্ধবীর (Girl Friend) শ্লীলতাহানি করেন, তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। ছবি তোলাকে কেন্দ্র করেই বচসার সূত্রপাত। এমন মর্মে অভিযোগ জানিয়ে শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ে করেছেন কসবার ওই বাসিন্দা। কিন্তু সুরেশের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে অনুপমের পাল্টা দাবি, ঘটনা নাকি এমনটা নয়ই। সুরেশই নাকি অনুপমের সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার করেন। সেলফি তোলার পরে দূর থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে ছবি-ভিডিও তুলে পাঠাতেও থাকেন। বিষয়টি অনুপমের নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরে আসতেই তারা পদক্ষেপ নেয়। পরে জানা যায়, সুরেশ থানায় অনুপমের নামে অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাঁকে কোনওভাবেই পুলিশ গ্রেফতার করেনি। আজই সুরেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন অনুপম বলেও জানান। আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতা ব্যানার্জিকে সরিয়ে দিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল
গতকাল রবিবার ফেসবুকে লাইভ (Facebook Live) করে অনুপম দাবি করেন, অভিযোগকারী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ঘনিষ্ট। লাইভ ভিডিওতেই পুলিশের (Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ করবেন বলে জানান বিজেপি নেতা। লাইভে বিজেপি নেতা বলেন, কয়েজন বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলাম পানশালায়। মদ্যপ এক ব্যক্তি বারে বারে তাঁর কাছে আসার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর দেহরক্ষীরা বাধা দেওয়ায় চেঁচিয়ে ওই ব্যক্তিই তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন তিনি তাঁকে কাছে ডেকে সেলফি তোলেন বলেও দাবি করেছেন অনুপম। সেলফি তোলার কিছুক্ষণ পর তাঁর দেহরক্ষীরা দেখতে পান পানশালার ওই ব্যক্তি নানা দিক থেকে তাঁর ভিডিও তুলে অন্য কাউকে পাঠাচ্ছে। নিষেধ করা হলেও শোনেননি। এরপর ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে পানশালা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অমুপমের দাবি।